প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরে ভয়ঙ্কর ধসে বিধ্বস্ত জোশীমঠ। প্রায় দেড়শো বাড়িতে ফাটল। গৃহহীনদের নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভূমিধসের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাত থেকে জোশীমঠে তুষারপাত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। এরই মধ্যে শুক্রবার মাঝরাত প্রায় দুটো নাগাদ হঠাৎ কেঁপে উঠে উত্তরকাশী। যদিও কম্পনের মাত্রা খুব একটা বেশি ছিল না। তবে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা জোশীমঠ ও সংলগ্ন এলাকায় মাঝরাতের এই কম্পন তীব্র আতঙ্ক তৈরি ছড়ায়। এই যখন পরিস্থিতি তখন এনটিপিসির তরফে দাবি করা হয়েছে, জোশীমঠের বিপর্যয়ের পিছনে তাদের কোনও ভূমিকা নেই।
আরও পড়ুন-মহিলা ক্রিকেটারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, দল থেকে বাদ গিয়ে নিখোঁজ হন
যদিও এই দাবি মানতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলেছেন, এনটিপিসি অপরিকল্পিতভাবে সুড়ঙ্গ নির্মাণ করার কারণেই এই ধস নেমেছে। এই ধসের জন্য এনটিপিসি দায়ী কি না তা জানতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এনটিপিসির তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের কোনও ত্রুটির কারণে এই বিপর্যয় হয়নি। জোশীমঠ থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে এনটিপিসির তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। ওই প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হয়েছে। আর তা করতে গিয়ে বসে গিয়েছে জোশীমঠের ভিত, এমনটাই অভিযোগ। বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরাও বলছেন একই কথা। কিন্তু সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিল এনটিপিসি।
আরও পড়ুন-আড়াই বছরেই প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আদিগঙ্গা
কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রককে এক চিঠিতে সংস্থা স্পষ্ট জানিয়েছে, জোশীমঠের চলতি পরিস্থিতির জন্য তাদের কোনওভাবেই দায়ী করা যায় না। কারণ যে সুড়ঙ্গের কথা বলা হচ্ছে সেই সুড়ঙ্গটি জোশীমঠ শহরের তলা দিয়ে যায়নি। বরং শহর থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকায় তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই জোশীমঠে দু’টি বড় হোটেল ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি যে সমস্ত বাড়ি বসবাসের অযোগ্য বলে প্রশাসন ঘোষণা করেছে ওই সেই সমস্ত বাড়ির নাগরিকদের ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। যাঁরা এখনও পর্যন্ত জোশীমঠে রয়ে গিয়েছেন তাঁরাও প্রবল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এরই মধ্যে রাজ্যের পুষ্কর সিং ধামি সরকার জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কোনও ঋণ থাকলে আগামী এক বছর তা পরিশোধ করতে হবে না। পাশাপাশি ছয় মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও জলের বিলেও মিলবে ছাড়।