পাটনা : দিনমজুরি করে কোনওরকমে সংসার প্রতিপালন করেন বিহারের সুপল এলাকার বাসিন্দা বিপিন চৌহান। করোনাজনিত কারণে সম্প্রতি কাজেও চলছিল মন্দা। সংসার প্রতিপালন করতে বিপিন তাই জব কার্ড তৈরি করতে গিয়েছিলেন। জব কার্ডের জন্য ব্যাংকের পাস বইয়ের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করা জরুরি।
২০১৬ সালে বিহারের সুপল এলাকার ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন বিপিন। কিন্তু সেই অ্যাকাউন্টে তেমন কোনও টাকা ছিল না। কিন্তু অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্ত করতে গিয়ে বিপিন জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন-অসমে মৃতদেহের ওপর নৃশংস অত্যাচার, বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কাউন্টারের কর্মী সঙ্গে সঙ্গেই বিপিনের কাছে জানতে চান, তিনি ওই টাকা জমা রেখেছেন কিনা। বিপিন স্পষ্ট জানান, যা রোজগার করেন তাতে সঞ্চয়ের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এরপর ওই ব্যাংক কর্মী পুরো বিষয়টি ম্যানেজারকে জানান। ম্যানেজারের নির্দেশে আপাতত বিপিনের অ্যাকাউন্টটি বন্ধ রাখা হয়েছে। কোথা থেকে বিপিনের অ্যাকাউন্টে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা জমা পড়ল তা খতিয়ে দেখছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, তাতেও এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ
তবে বিহারে এ ধরনের উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটল তা নয়। মাত্র কিছুদিন আগেই বিহারের ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রের অ্যাকাউন্টেও যথাক্রমে ৬ কোটি ও ৯ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। তার কয়েকদিন আগে কাটরা থানা এলাকায় রাম বাহাদুর শাহ নামে এক এক প্রৌঢ়র অ্যাকাউন্টেও ৫ কোটি টাকা জমা পড়া খবর জানা গিয়েছিল। কিভাবে বিহারে বেশ কয়েকজন মানুষের অ্যাকাউন্টে এভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা পড়ছে তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।