প্রতিবেদন : পুলিশ রিপোর্ট না দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নয়। মঙ্গলবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ৩ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। আদালতের বক্তব্য, ৯ এবং ১০ জানুয়ারি বিচারপতি মান্থার এজলাসের সামনে ঘটনাবলির জন্য কারা দায়ী, তাঁদের আগে চিহ্নিত করতে হবে। তারপরে অন্য প্রশ্ন। লক্ষণীয়, এজলাসের বাইরে বিক্ষোভের ঘটনায় ১১ জন আইনজীবীর সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষের নামও। এক আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জনের এই নামের তালিকা প্রধান বিচারপতির তৈরি ৩ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে এদিন জমা দেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার। কিন্তু আইনজীবীরাই বলছেন, বিচারপতি মান্থার এজলাসের (Calcutta High Court) বাইরে ওই দু’দিনের বিক্ষোভে আদৌ উপস্থিত ছিলেন না কুণাল ঘোষ। বিশেষ বেঞ্চ অবশ্য এই অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি কোনও ব্যবস্থা নিতে চায়নি। বিচারপতিদের বক্তব্য, তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে আদালত অবমাননার রুল জারি করছি না। সবটাই প্রমাণসাপেক্ষ। কারণ, এই আদালত চায় না, একজনের নামও ভুল করে আসুক, যিনি এই আন্দোলনে আদৌ উপস্থিত ছিলেন না। কুণালের প্রতিক্রিয়া, যার ইচ্ছে নাম দিক, আইনের পথে বুঝে নেব। বিচারপতি টি এস শিভাগনম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ, এই মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোথাও এই নিয়ে সভা বা মিছিল করা চলবে না। মারা চলবে না পোস্টার। বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানোর দায়িত্বে কারা ছিল, পোস্টার ছাপানোর বরাত কে বা কারা দিয়েছিল, ছাপা হয়েছিল কোন প্রিন্টিং প্রেসে— জানতে চেয়েছে বিশেষ বেঞ্চ। পুলিশ কমিশনার, এসিপি এবং লেক থানার ওসিকে এই মর্মে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ বেঞ্চ। ইতিমধ্যেই ৯ ও ১০ তারিখের হাইকোর্টের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, স্টিল ফটো রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে মুখবন্ধ খামে জমা দিয়েছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। সংরক্ষণ করা হচ্ছে ৩ দিনের ফুটেজ। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, রাজ্য বার কাউন্সিল, বার অ্যাসোসিয়েশন, বার লাইব্রেরিকেও পাঠানো হয়েছে নোটিশ। পরবর্তী শুনানি ২ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন-বাজেট অধিবেশন শুরু ৮ ফেব্রুয়ারি