বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, হাসিমারা: চা-বলয়ের শ্রমিকমহল ঠিক যা আশা করেছিল, বৃহস্পতিবার সুভাষিণী চা-বাগানের ময়দানে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাই পূরণ করে গেলেন কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরের চা-শ্রমিকদের আবাস নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী কয়েক মাস আগে ঘোষণা করেছিলেন চা-সুন্দরী প্রকল্পের, যার কথা শুনে চমকে উঠেছিল সারা ভারতবর্ষ। চা-সুন্দরী (Chaa sundari- Medhashree) এমন এক প্রকল্প, যা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই ঘোষণা করা সম্ভব বলে মেনে নিয়েছিল দেশব্যাপী ডান-বাম সমস্ত শ্রমিক সংগঠন। সাধারণ মানুষের জন্য এত জনকল্যাণকর প্রকল্প ভূ-ভারতে আর কোনও রাজ্যে চালু নেই। আর ঘোষণার পর করোনা অতিমারি শুরু হওয়ায়, সামান্য দেরি হয়েছে চা-সুন্দরী প্রকল্প রূপায়ণে। তবে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সেই স্বপ্নের ঘরের চাবি পেয়ে সুনিতা ওঁরাও, মমতা সার্কির মতো চা-শ্রমিকরা আবেগে ভেসে গেলেন। সুনিতা ওঁরাও বললেন, চা-বাগানে কাজ করে যা পাই তাই দিয়ে সংসারের খরচ চালাই। স্বপ্ন দেখতাম একটি সুন্দর ঘরের, মুখ্যমন্ত্রীর দয়ায় সেই স্বপ্ন পূরণ হল বিনে পয়সায়। ওঁকে ধন্যবাদ। চা-সুন্দরীর পাশাপাশি এদিন ওবিসি স্কলারশিপ যা এতদিন কেন্দ্র সরকার দিত তা বন্ধ করে দেওয়ায়, এবার রাজ্য সরকারই তা দেবে ‘মেধাশ্রী’ (Chaa sundari- Medhashree) নামে। স্কলারশিপের এই নামকরণে হাততালির ঝড় ওঠে সভাস্থলে।
আরও পড়ুন-বিজেপির কুৎসার জবাব তৃণমূলের