প্রতিবেদন : একদিন আগেই উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ভারত, চিন ও নেপাল তিন দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে চিন। বলা যেতে পারে, চিনের আচরণের কারণে সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ছে। তাই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে আকাশপথে সামরিক মহড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বায়ুসেনা। শীঘ্রই বায়ুসেনার মহড়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এই মহড়ায় রাফাল এবং ও সুখোই-৩০ এর মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান অংশ নেবে।
আরও পড়ুন-বিতর্ক থামাতে নিষেধাজ্ঞা
কিছুদিন আগেই ড্রোনের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় মহড়া চালিয়েছিল বায়ুসেনা। ওই মহড়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ফের ওই অঞ্চলে দ্বিতীয়বার মহড়া চালানোর কথা জানাল বায়ুসেনা। সমর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিনের আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দিতেই ভারতীয় বায়ুসেনা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি পদাতিক সেনাও তাদের গতিবিধি বাড়িয়েছে। বিশেষ করে অরুণাচল ও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় সেনা-সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বায়ুসেনার তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিতর্কিত ডোকলাম অঞ্চলে চিনের সামরিক কার্যকলাপ ক্রমশই বাড়ছে তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বায়ুসেনাও তৈরি থাকছে। আকাশপথে চিনের সম্ভাব্য আক্রমণ রুখতে বিশেষ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকেও সক্রিয় করেছে বায়ুসেনা। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসা যে কোনও বোমারু বিমান কিংবা ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিরোধ করতে পারবে।
আরও পড়ুন-সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে জোড়া বিস্ফোরণ
গত সপ্তাহেই লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিযুক্ত সেনা সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। লালফৌজ যুদ্ধের জন্য কতটা প্রস্তুত বেজিংয়ে বসে ভিডিও কনফারেন্সে পূর্ব লাদাখে মোতায়েন চিনা সেনাদের প্রশ্ন করেন প্রেসিডেন্ট। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, জিনপিং যে কোনও সময় যুদ্ধের নির্দেশ দিতে পারেন লাল ফৌজকে। তাই বায়ুসেনাও আগাম তৈরি থাকতে চাইছে। সে জন্যই এই মহড়ার সিদ্ধান্ত।