প্রতিবেদন : নেতাজি যে মতাদর্শে বিশ্বাস করতেন, সেই মতাদর্শের উল্টো প্রান্তে ছিল আরএসএস ও বিজেপি। ধর্ম-বর্ণ-জাতি নিয়ে রাজনীতিকে ঘৃণা করতেন তিনি। আরএসএস বা বিজেপি যেভাবে নেতাজির ভাবাদর্শকে গেরুয়াকরণের চেষ্টা করছে সেটা আসলে নেতাজিকেই অপমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-শ্যামল রঙের আশ্চর্য কবিতা
জার্মানিতে বসে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন নেতাজিকন্যা অনিতা বসু পাফ। স্বাভাবিকভাবেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলির প্রসঙ্গ আসে, আসে বিজেপির কথাও। সে প্রসঙ্গেই অনিতার জবাব, নেতাজি ধর্মনিরপেক্ষতা বিশ্বাস করতেন। ফলে আরএসএস ও নেতাজির ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের মধ্যে আসমান-জমিন ফারাক ছিল। সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত কলকাতায় শহিদ মিনারের পাদদেশে নেতাজির জন্মবার্ষিকী পালনে দলের মূল বক্তা। আরএসএসের এই উদ্যোগকে মোটেই পছন্দ করছেন না নেতাজিকন্যা।
আরও পড়ুন-ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
স্পষ্ট ভাষায় বলতে বাধ্য হয়েছেন, নেতাজির গেরুয়াকরণের চেষ্টা হচ্ছে। কার্যত তাঁকে নিয়ে ক্ষুদ্র রাজনীতির চেষ্টা আরএসএসের। অনিতা বলেন, নেতাজি বিশ্বাস করতেন সকলে মিলে একসঙ্গে থাকা যায়। আরএসএস এটা মনে করে না। সংঘ হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভাবধারা প্রচার করতে চায়। যা নেতাজির সঙ্গে মোটেই সম্পৃক্ত নয়। যারা নেতাজির আদর্শে মোটেই বিশ্বাস করে না, খালি আড়ম্বর করে তাঁর কথা বলে তাদের কোনও কাজকে তিনি সমর্থন করতে রাজি নন।
আরও পড়ুন-মধুবাতা ঋতায়তে
বহুকাল ধরেই আরএসএসের ভুয়ো প্রচার, তাদের সঙ্গে নাকি নেতাজির দারুণ সম্পর্ক ছিল। ইতিহাসবিদ বা গবেষকরা তা উড়িয়ে দিয়েছেন, এবার নেতাজিকন্যাও। আরএসএসের নেতাজির জন্মদিন পালনকে তিনি বলেছন, আসলে ওরা রাজনৈতিক উত্তরাধিকারে ভাগ বসাতে চায়। অনিতা বলতে চাইছেন, তিনি যে আসলে অনেকটা সমাজবাদী মানসিকতার ছিলেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই সাক্ষাৎকারে।