প্রতিবেদন : লোক নেই তাই জোর করে লোক আনতে হল মোহন ভাগবতের সভায়। শুধু তাই নয়, শিবপুর আইআইইএসটির মতো লব্ধপ্রতিষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও জোর করে গেরুয়াকরণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সেখানকার চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের হুমকি দিয়ে চাকরি খাওয়ার ভয় দেখিয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের শহিদ মিনারের সভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এঁদের প্রত্যেকের থেকে ৫৫০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে আরএসএসের পোশাকের জন্য।
আরও পড়ুন-অমর্ত্যর বিরুদ্ধে এবার প্রতিহিংসা
সাদা জামা, খাকি প্যান্ট, জুতো, টুপি পরে যেতে হয়েছে। তার আগে একদফা প্যারেড করতে হয়েছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের শহিদ মিনারের সভায় যাওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে না থাকলেও স্রেফ চাকরি বাঁচাতে যেতে হয়েছে বলে বক্তব্য নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মীদের। গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে শিবপুর আইআইটির সংঘ অনুমোদিত আইআইইএসটি শিবপুর এমপ্লিয়জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জোর করে আরএসএস প্রধানের সভায় নিয়ে যাওয়ার। এই কর্মীদের অনেকেরই বক্তব্য, আমরা কেউই মন থেকে আরএসএসকে মেনে নিতে পারি না। কিন্তু চাকরি বাঁচাতে আমাদের টাকা খরচ করে পোশাক কিনে পরে যেতে হয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিকবার এই ধরনের গৈরিকীকরণের অভিযোগ অতীতে এসেছে। কিন্তু শিবপুর আইআইইইএসটির মতো গৌরবময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে যেভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে মুড়ে রেখে সেখানে গৈরিকীকরণ-হুমকি দেওয়া-চাকরি খাওয়ার ভয় দেখিয়ে জোর করে সংঘের সভায় নিয়ে যাওয়া চলছে তা সামনে আসায় স্তম্ভিত গোটা রাজ্য। এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এ জিনিস গোটা দেশ জুড়ে চলছে। কতটা নোংরা মানসিকতার হলে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের চাকরি খাওয়ার ভয় দেখিয়ে এভাবে আরএসএসের সভায় নিয়ে যেতে হয়। এতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ওদের সভায় যাওয়ার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই দৈন্যদশা যাদের তারা বাংলায় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে? ছিঃ!