রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান বয়কট বিরোধী দলনেতার, নিন্দায় সরব কুণাল ঘোষ

এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। রাজ্যপালকে 'বর্ণপরিচয়' উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী

Must read

আজ রাজভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা (Bengali) শেখা শুরু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) বিকেলে বাংলায় হাতেখড়ি হল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। রাজ্যপালকে ‘বর্ণপরিচয়’ উপহার দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose), বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Tathagata Ray)-সহ বিশিষ্টরা।

আরও পড়ুন-বাংলায় ‘হাতেখড়ি’ রাজ্যপালের, উপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কিন্তু এর মাঝেই রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান ‘বয়কট’ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন কিন্তু তিনি রাজভবনে গেলেন না । ট্যুইট ও ফেসবুক পোস্টে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শুভেন্দু।

তাঁর পোস্টে শুভেন্দু লেখেন ,’যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পাননি অথচ টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী-সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক বর্তমানে জেলে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান কার্যত রাজনৈতিক স্বার্থে করা হচ্ছে’।

আরও পড়ুন-৭৪তম সাধারণতন্ত্র দিবস, শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

তার এহেন আচরণকেই নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইট বার্তায় বিরোধী দলনেতার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের অনুষ্ঠান বয়কট করার বিষয় নিয়ে তিনি লেখেন, ‘অসভ্য। ঈর্ষাপরায়ণ। নিচ মন। ধনকড়ের সময় বিজেপির রাজনৈতিক কাজের অফিস বানিয়েছিলে রাজভবনকে, তখন সম্মানের কথা মনে পড়েনি? রাজ্যপাল বাংলা শিখতে চেয়েছেন। বঙ্গবাসী ও বঙ্গভাষীর তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো উচিত। সকলেই জানাচ্ছেনও। একমাত্র বঙ্গের বিশ্বাসঘাতকরাই এনিয়ে রাজনীতি করতে পারে।’

আরও পড়ুন-সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ: রেড রোডে উপস্থিত রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী

তিনি আরও লেখেন, ‘রাজ্যপালকে অপমান। বাংলা ভাষার প্রতি রাজ্যপালের আন্তরিক মনোভাবকে অসম্মান করল এই অসভ্য। পাশাপাশি এক কৃতী দক্ষ যোগ্য মহিলা আই এ এসকে অপমান করল, চাপ দেওয়ার, ভয় দেখানোর চেষ্টা করল। নিন্দা করছি। রাজভবনটাকে মামারবাড়ি ভাবছিল। নন্দিনীর জুতো পালিশের যোগ্যতাও শুভেন্দুর নেই।’

 

Latest article