প্রতিবেদন : কুৎসা নিয়ে শেষমেশ মুখ খুললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Indian Economist Amartya Sen)। রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতী নিয়ে পরিষ্কার জানালেন, এখানে একনায়কতন্ত্র চলছে। বিশ্বভারতীতে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে যা ঘটেছে সে নিয়ে বিস্মিত অমর্ত্য ব্যঙ্গের সুরেই বলেন, দিল্লির কিছু লোক আমাকে পছন্দ করে না। আমিও তাদের সঙ্গে একমত হতে পারি না।
প্রতীচীর জমি বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশ্বভারতী নোটিশ পাঠিয়েছে। সে প্রসঙ্গে নোবেলজয়ী বলেন, এটি আমার বাবার কেনা জমি। কেউ যদি আপনার বাড়িতে এসে বলে এটা আমার জমি, কী বলা যায়! তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, আমিও ভাইস চ্যান্সেলরের বাড়িতে যেতে পারতাম। বলতাম, এই ঘরে আমার পিতামহ থাকতেন। এলাকার মানুষ আমাকে চেনেন। আগেও প্রমাণ দিয়েছি। এবার এলাকার মানুষের সামনেই জমি মাপা হোক। উপাচার্য প্রসঙ্গে বলেন, আমি বিমর্ষ হয়ে পড়েছি, লোকটার চিন্তাভাবনা দেখে। যেভাবে পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে, বহিষ্কার করা হচ্ছে তা তো অবিচার। কর্তৃপক্ষের কেন মাথাব্যথা নেই?
আরও পড়ুন-ব্যর্থতা ঢাকতে বিজেপির বিক্ষোভের রাজনীতি
পড়ুয়াদের সঙ্গে দুই অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও কৌশিক ভট্টাচার্যও গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। তাঁরা সকলের হয়ে ক্ষমা চান অমর্ত্যর কাছে। বলেন, এটা আমাদের লজ্জা। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক বা পড়ুয়ারা এই অভিমত পোষণ করেন না। একমাত্র ব্যক্তিগতভাবে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে এসব করছেন। অমর্ত্য তাঁদের বলেন, লড়াই আপনাদের চালিয়ে যেতে হবে। যদিও জানা নেই এর শেষ কোথায়!
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তি ছেত্রী বলেন, অমর্ত্য সেন (Indian Economist Amartya Sen) বিশ্ববরেণ্য মানুষ। কর্মসূত্রে বিদেশে তিনি যান ঠিকই, তবে শান্তিনিকেতনের প্রতীচী বাড়িতে সময় পেলেই বাংলার টানে ছুটে আসেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় রায় বলেন, আমরা অমর্ত্য সেনের লেখা পড়ে সমৃদ্ধ হয়েছি। ওঁর বই পড়ে অর্থনীতি সম্পর্কে অনেক জেনেছি। এত বড় মাপের মানুষকে এভাবে চিঠি দিয়ে অপমান করা ঠিক হয়নি। আশা করি, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এটা ভাববেন।