প্রতিবেদন : আবারও বাংলার মুখ পোড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যপালের হাতেখড়িকে কেন্দ্র করে রাজভবন ও রাজ্যপালকে (Governor CV Ananda Bose) অসম্মান তো করলেনই, একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) বিরুদ্ধেও কুৎসা করলেন। ছাড় পেলেন না দক্ষ মহিলা আইএএস অফিসারও। আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও রাজভবনে না গিয়ে কুৎসা ও অসভ্যতায় মেতে থেকে আখেরে বাংলার মুখই পোড়ালেন শুভেন্দু, যা দেখে-শুনে সব মহলই বলছে ছিঃ! এই ঘটনায় শুভেন্দুকে তোপ দেগে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, এটা রাজ্যপালকে অপমান। বাংলার অপমান। অসভ্যতা ও নোংরা রাজনীতি।
আরও পড়ুন-আমায় দিল্লির কিছু লোক পছন্দ করে না
সিবিআই-ইডির মতো রাজভবনকেও বিজেপির কথায় ওঠ-বোস করাতে না পেরে প্রতিহিংসায় জ্বলে পুড়ে খাক মেদিনীপুরের নেতা। বিজেপি নিজেরাই প্রমাণ করল প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ছিলেন বকলমে বিজেপির ক্যাডার। এ আসলে নোংরা রাজনীতি- ছোট মনের রাজনীতি। রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বাংলার মুখ পোড়ালেন বিরোধী দলনেতা। একে সাধারণতন্ত্র দিবস তায় সরস্বতী পুজো৷ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বাংলা শেখার হাতেখড়ির আয়োজন করেছিলেন। সঙ্গে রীতিমাফিক সাধারণতন্ত্র দিবসের চা-চক্র। বাংলার সব রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাকিরা গিয়েছেন। সৌজন্য বিনিময় করেছেন। যাননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। কিন্তু নানা অজুহাত-অপযুক্তি খাড়া করে কুৎসিত ভাষায় রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী ও রাজভবনের দায়িত্বে থাকা আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেছেন। বিরোধী দলনেতা হিসেবে একাজ করায় মাথা নিচু হল রাজ্যের। একইসঙ্গে শুভেন্দুর জন্য বিজেপির মুখেও চুনকালি পড়ল। তাঁর এই কুৎসিত আক্রমণ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেও। আসলে জগদীপ ধনকড়ের আমলে রাজভবন যেভাবে বিজেপির সদর দফতরে পরিণত হয়েছিল তা এখন সম্ভব হচ্ছে না। বিজেপির কথায় নতুন রাজ্যপাল ওঠবোস করছেন না। তাতেই তাঁর ওপর খেপেছেন শুভেন্দু, স্বপন দাশগুপ্তরা। বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। তাঁর কথায়, রাজ্যপালের হাতেখড়িকে বঙ্গবাসী শুভেচ্ছা জানালেও শুভেন্দু ও বিজেপি নোংরা রাজনীতি ও অসভ্যতা করছে। এটা রাজ্যপালকে অপমান করা। রাজভবনকে অপমান করা। আসলে বর্তমান রাজ্যপাল সকলকে নিয়ে চলছেন। সবার সঙ্গে কথা বলছেন। শুধু ওদের কথামতো চলছেন না তাই এই কুৎসিত আক্রমণ।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন যা পূর্ব নির্ধারিত। তা নিয়েও কুৎসা শুরু করেছে বিজেপি। শুভেন্দুদের একহাত নিয়ে এবিষয়ে কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, নিরপেক্ষ রাজ্যপালকে কি চাপ দিয়ে বিজেপির অনুকূলে পক্ষপাতদুষ্ট করার চেষ্টা চলছে? গণতন্ত্রকে প্রহসনে করতে আর কিছুই বাকি রাখছে না বিজেপি। যেসব কথা শোনা যাচ্ছে তা সত্যি হলে চরম আপত্তিকর। বাংলার মানুষ লক্ষ্য রাখছেন। কুণালের সংযোজন, রাজ্যপালের দিল্লি যাত্রা পূর্ব নির্ধারিত। তা গোপন করে যারা তলবজনিত গল্প দিচ্ছেন সেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। রাজভবনের ওপর চাপের অপচেষ্টা চলছে সেটা ঠিক। কিন্তু রাজ্যোলকে তলবজনিত গল্প ছড়িয়ে দিল্লির দাদাগিরি যেন প্রতিষ্ঠা না করা হয়।