প্রতিবেদন : তলিয়ে যাচ্ছে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত পাহাড়ি জনপদ জোশীমঠ। তবে শুধু জোশীমঠ নয়, ঝুঁকির মুখে গোটা উত্তরাখণ্ড। জোশীমঠের পর এবার উত্তরাখণ্ডের নানান জায়গায় দেখা যেতে শুরু করেছে ফাটল। কোথাও জাতীয় সড়কে আবার কোথাও বাড়িঘরে ফাটল দেখা দিচ্ছে। সবমিলিয়ে ভিটেমাটি ছাড়া বাসিন্দারা আতঙ্কের প্রহর গুনছেন। এই ছবি দেখা যাচ্ছে কর্ণপ্রয়াগ, উত্তরকাশী, নৈনিতাল, হৃষীকেশ, মুসৌরিতে। ফলে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।
আরও পড়ুন-টিএমওয়াইসি কাপের ড্র আজ
জোশীমঠ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে কর্ণপ্রয়াগ। সেখানেও বেশ কয়েকটি বাড়িতে বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। হৃষীকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন তৈরির কাজ এবং রাস্তার কাজ চলছে। চারধাম যাত্রা আরও সহজ করতে সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ। চলছে নির্মাণকাজ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই নির্মাণকাজের জেরেই ঝুঁকি বাড়ছে এখানকার মানুষের। নৈনিতাল ও মুসৌরিতেও কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা গেছে। নৈনিতালের মতো পিথোরাগড় জেলাও বিপদের মুখে। সেখানেও ভূমিধসের ঘটনা। বিশেষত, মুন্সিয়ারি, ধারচুলায় একাধিক ধসের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন-সংগীতের জাদুকর নচিকেতা ঘোষ
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, মাটির ধারণক্ষমতা কত যা যথাযথ ভাবে যাচাই না করেই ব্যাপকভাবে ভারী নির্মাণকার্য চালানো হয়েছে এইসব এলাকায়। যে কারণেই এই বিপদ ঘটছে। তেহরি গাড়ওয়াল, মুসৌরির ল্যান্ডৌর বাজার, নৈনিতালের লোয়ার মল রোড এবং রুদ্রপ্রয়াগের অগস্ত্যমুনি ব্লকের ঢালীমঠ বস্তি এবং গুপ্তকাশী শহরেরও মাটি বসে যেতে বসেছে। বাড়িঘর, দোকানপাটে ফাটল দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে আসন্ন বিপদের আশঙ্কায় তটস্থ সেখানকার বাসিন্দারা।