দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নিশানায় বিরোধীরা। শনিবার, ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, কংগ্রেস বেশির ভাগ জায়গাতেই শূন্য হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া।
আরও পড়ুন: ক্ষোভ নয়, মানুষের চাওয়া-পাওয়া বলা: ‘দিদির দূত’দের অভিযোগ জানানো নিয়ে জবাব অভিষেকের
এদিন, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের মন্তব্য নিয়ে অভিষেককে (Abhishek Banerjee) সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, তার উত্তরে তিনি বলেন, কংগ্রেসই একমাত্র বিরোধী কি না, তা নির্বাচন এলেই বোঝা যাবে। এটা মানুষের শুভ বুদ্ধির উপর ছেড়ে দেওয়া ভালো। তিনি বলেন, জয়রাম রমেশ বা কংগ্রেসের মন্তব্য নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাইছেন না। এর উত্তর মানুষে দেবে। তবে, সব দলেরই ব়্যালি করার অধিকার আছে। এরপরেই তৃণমূলের উদাহরণ টেনে অভিষেক বলেন, তাঁরা বাংলার বাইরে সব জায়গায় লড়াই করছেন। ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে (Tripura- Meghalaya) একই সময় বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে জোড়াফুল শিবির। তবে, অভিষেকে মতে, তাঁরা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দেরি করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মূলত তিনি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। গোয়াতে নির্বাচনে লড়েই ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। অভিষেকের কথায়, তাঁরা শূন্য থেকে শুরু করে প্রথমবার নির্বাচনেই আট শতাংশ ভোট পায় তৃণমূল। কংগ্রেস বা বিজেপির শূন্য থেকে শুরু করে ৮ শতাংশে পৌঁছতে অনেক সময় লেগেছে। অভিষেকে মতে, বাংলার পাশাপাশি, কংগ্রেস এখন অনেক রাজ্যেই শূন্য। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকেই ভোট দেওয়া।
এরপরেই বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, তাঁরা স্যোশাল মিডিয়া রাজনীতি করেন না, মাঠে নেমে লড়াই করেন। বাংলার বঞ্চনা নিয়েও সরব হন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাকেই ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হয়নি। এরপরেই তোপ দেগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, যাঁরা মনে করছে বাংলার টাকা আটকে মানুষকে শিক্ষা দেবে, তাঁরা ইতিহাস হয়ে যাবে।
আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের পতনের বড়সড় প্রভাব দেখা দিয়েছে বাজারে। ঝুঁকির মুখে বৃহত্তম জীবন বীমা সংস্থা LIC পর্যন্ত। কারণ, আদানি গ্রুপের শেয়ারে ব্যাপক পতন হয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিতে এলআইসির বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বলেন, বিজেপি সব কিছু নিয়েই ইডি-সিবিআই চায়। এই বিষয় নিয়ে ইডি-সিবিআই হবে না কেন! প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।