বুয়েনস আইরেস, ৩১ জানুয়ারি : বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জেতার পর মাথা গরম করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই বিতর্ক নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন লিওনেল মেসি। সাফ জানালেন, নিজের আচরণে তিনি অনুতপ্ত।
সেদিন ম্যাচ চলাকালীন বারবার নিজেদের মধ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছিলেন দুই দলের ফুটবলাররা। গোটা ম্যাচে ১৫টি হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ম্যাচটা জেতার পর মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি মেসি। প্রতিপক্ষ রিজার্ভ বেঞ্চের সামনে গিয়ে ডাচ কোচ লুই ভ্যান গলকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং গালিগালাজ করা ছাড়াও, উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। এখানেই শেষ নয়, ম্যাচের সেরা হওয়ার পর সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ডাচ ফুটবলার উইঘর্স্টকেও কটূক্তি করেছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
আরও পড়ুন-তিতাসদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত সৌরভ
আর্জেন্টিনার একটি রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘‘সেদিন যা করেছিলাম সেটা ঠিক করিনি। খেলার মধ্যে প্রচুর উত্তেজনা থাকে। ফুটবলাররাও চাপে থাকে। তাই কখনও কখনও এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু আমার সংযম দেখানো উচিত ছিল। নিজের আচরণে আমি অনুতপ্ত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ম্যাচের আগে ওদের কোচ (ভ্যান গল) অনেক কথা বলেছিলেন। যা আমার পছন্দ হয়নি। ম্যাচটাও হয়েছিল চড়া মেজাজে। রেফারিং নিয়েও বিরক্ত ছিলাম। তাই জেতার পর নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।’’ মেসি আরও বলেছেন, ‘‘সেই ২০১৪ সালেই বলেছিলাম, ঈশ্বর একদিন ঠিক এই ট্রফিটা আমাকে উপহার দেবেন। সেটাই হয়েছে। জীবনে যা যা অর্জন করেছি, তারজন্য প্রতিদিন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই।’’ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে মেসির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিল। ভক্তদের অজস্র শুভেচ্ছাবার্তায় একটা সময় তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-দেশে ফিরলেন বিশ্বজয়ীরা, বোর্ডের সংবর্ধনায় থাকবেন শচীনও
মেসি বলছেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কী, খুব কম শুভেচ্ছাবার্তাই পড়তে পেরেছিলাম। আমার কাছে ১০ লক্ষ বার্তা এসেছিল। শেষ পর্যন্ত অ্যাকাউন্টটাই ব্লক হয়ে যায় বেশ কিছুটা সময়ের জন্য। গোটাটাই উন্মাদের মতো মনে হচ্ছিল।’’ প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনাকেও স্মরণ করেছেন মেসি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দিয়েগোর হাত থেকে বিশ্বকাপ ট্রফিটা নিতে পারলে দারুণ হত। উনি মনপ্রাণ দিয়ে আমাদের বিশ্বকাপ জয় চেয়েছিলেন। জাতীয় দল নিয়ে ওঁর প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি, এটাই সান্ত্বনা।’’