সুস্মিতা মণ্ডল, বকখালি : সোমবার বেলা বাড়ার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, মৌসুনি, নামখানা, কাকদ্বীপ, ক্যানিং, গোসাবা এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূল এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় দমকা বাতাস বইছে। রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। বকখালি সমুদ্রতট জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স ও কোস্টগার্ডের কর্মীরা প্রচার চালাচ্ছেন। আগামী দু দিন বকখালির সমস্ত হোটেলের বুকিং বন্ধ থাকবে। বিকেলে জেলাশাসক পি উলগানাথন বকখালি আসছেন। মঙ্গল ও বুধবার বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্ধে সচল ছিল জেলা
দু দিন জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে সাগরের ঘোড়ামারা, মৌসুনি, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা ও গোসাবার নীচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে তুলে আনা শুরু হয়েছে। এদিন জেলাশাসক পি উলগানাথন বিদ্যুৎ, সেচ, পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক সেরেছেন। প্রতিটি মহকুমায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। আগামী দু দিন সর্বক্ষণ খোলা থাকবে এই কন্ট্রোল রুমগুলি। অতিরিক্ত জেলাশাসকরা পাঁচটি মহকুমার দায়িত্বে আছেন। জেলায় এনডিআরএফের দুটি দল ও এসডিআরএফের চারটি দল পৌঁছে গিয়েছে। দলগুলি ইতিমধ্যে দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে ত্রাণ, জলের পাউচ ও শুকনো খাবার মজুত করা হয়েছে। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, নিম্নচাপের জেরে সুন্দরবন এলাকায় ভারী বৃষ্টি ও ঝড় হতে পারে। তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। প্রসাশন সতর্ক আছে।