সংবাদদাতা, কাটোয়া : দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম পথ ব্যান্ডেল-কাটোয়া রেলপথ। এই রেলপথের পূর্বস্থলীর জালুইডাঙার কাছে ভাগীরথীর ভাঙন একেবারে রেললাইনের নাগালে চলে এসেছে। যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। ‘রেল দফতরের নজরে এনেও কোনও কাজ না হওয়ায়’ স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বিধায়ক তহবিলের ৫৩ লাখ টাকা দেন জালুইডাঙার ভাঙনের আশু মেরামতির জন্য। সেই টাকায় ১২৫ মিটার পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু করল সেচ দফতর। কাজের সূচনা করে স্বপন বললেন, ‘লোহার জালের ভিতর বোল্ডার ভরে ভাঙন রোধ করা হবে।’ শুধু জালুইডাঙাই নয়, এখান থেকে নসরতপুর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন বাড়াবাড়ি আকার নিয়েছে।
আরও পড়ুন : প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা, নিরাপদ আশ্রয়ে মানুষ
ভাঙনের আতঙ্কে ফি-বর্ষায় বুক কাঁপে ভাগীরথী লাগোয়া কালনা মহকুমার। কবে ভাঙন গিলে নেবে জমিজিরেত, বসতবাড়ি। ভাঙন মেরামতিতে কসুর করে না সেচ দফতর। কিছুদিন বাদেই মেরামতির বোল্ডার, খাঁচা, বালির বস্তা ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়। বছর বছর এই আতঙ্কের পুনরাবৃত্তি রুখতে এবার তৎপর বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ভাঙনের স্থায়ী সমাধান নিয়ে বৈঠক করলেন সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের সঙ্গে। স্বপন জানান, ‘রাজ্যে পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভাঙন-কবলিত এলাকার পাড় বাঁধানো হয়। কিন্তু তা টিকছে না। স্থায়ী সমাধান চেয়ে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলাম। উনি আশ্বাস দিয়েছেন।’ এই ভাঙন রোধে রাজ্য সেচ দফতর বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। যেভাবে গঙ্গা পাড় ভেঙে এগিয়ে আসছে, তাতে শুধু রেল পথই নয়, আগামীদিনে বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙনের গ্রাসে চলে যাবে।