সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : লালগড়ের নেতাইয়ে ধিক্কার সভা করে রাজ্যের বিরোধী দল নেতাকে চাঁচাছোলা ভাষায় রাজ্যের স্বনির্ভর স্বনিযুক্তি দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত ও বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda) বলে দিলেন, এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে থেকে সব কিছু ভোগ করে এখন বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গদ্দার! আপনার লজ্জা থাকা উচিত। বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়ের নেতাইয়ে এই সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেখানে মূল বক্তা ছিলেন ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, প্রাক্তন মন্ত্রী চুড়ামণি মাহাত, ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ, প্রাক্তন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, প্রসূন ষড়ঙ্গী প্রমুখ। গত ৩০ জানুয়ারি না জানিয়ে লুকিয়ে নেতাই ঢোকেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার নেতৃত্বে প্রথমে লালগড়ের নবকুঞ্জ থেকে নেতাই পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার পদযাত্রা হয়। পদযাত্রায় নেতাদের সঙ্গে পা মেলান প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। এরপর নেতাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণ গঙ্গাজল ঢেলে ধুয়ে দেওয়া হয়। গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে দেন নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি নন্তু অধিকারী ও বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। এবং শহিদদের স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বীরবাহা হাঁসদা এদিন ছিলেন আগাগোড়া আক্রমণাত্মক। বলেন, একজন গদ্দার দুদিন আগে এখানে এসে তৃণমূলের নামে, আমাদের নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে, আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করে গিয়েছেন। ওই গদ্দারের লজ্জা লাগে না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুভেন্দু অধিকারী হয়েছেন। না হলে শুভেন্দুকে কেউ চিনতে পারত না! একটা লজ্জা থাকা দরকার। এত দিন তাঁর সরকারে থেকে সমস্ত কিছু ভোগ করে এখন বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গদ্দার? আপনার লজ্জা করা উচিত!
আরও পড়ুন-দেশের অর্থনীতি নিয়ে আমি শঙ্কিত