প্রতিবেদন : গোয়ায় বড়সড় চমক দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যাশা মতোই বিধায়ক পদ থেকে সোমবার ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফালেরিও। যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ফালেরিও গোয়ার নাভেলিম কেন্দ্র থেকে সাতবার জিতে বিধায়ক হয়েছেন। দু’বারের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। ভারেতর উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন এই নেতা। অন্য রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত করতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। তাঁর দলত্যাগের খবরে তুমুল চাঞ্চল্য গোয়ায়। সোমবার বিধানসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ঢালাও প্রশংসা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন : আইন ভেঙে উল্টে তৃণমূলকেই হেনস্তা
২০২২ সালের শুরুতেই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই খেলার মাঠ জমজমাট করে তুলছে তৃণমূল। মঙ্গলবার গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেরিওর কলকাতায় আসার কথা। তিনি নিজেই জানিয়েছেন এই খবর। এদিন তিনি একইসঙ্গে কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রবীণ নেতা বলেন, মমতা হলেন সত্যিকারের স্ট্রিট ফাইটার। পথে নেমে কীভাবে লড়াই করতে হয় তা তিনি করে দেখিয়েছেন। একাধিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি। বিজেপিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। গোয়ার মানুষও বাংলার বাঘিনী মমতাকেই চাইছে। একইসঙ্গে ফালেরিওর মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের প্রতীক। একসময় দুর্ধর্ষ সিপিএমকে লড়াইয়ের ময়দানে গোহারা হারিয়েছেন। বাংলায় তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে বিজেপিকে এক নগন্য শক্তিতে পরিণত করা যায়। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহর মতো নেতারা প্রতিদিন দিল্লি থেকে বাংলায় দৌড়ে গিয়েছেন। সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু মমতার বাংলায় তারা কোনও রকম দাগ কাটতে পারেননি। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমার বয়স হলেও শরীর ও মনের দিক থেকে এখনও তাজা। বিজেপির বিরুদ্ধে আমি সর্বশক্তিতে লড়াই করব। বিজেপির অপশাসনে গোয়ার মানুষ চরম কষ্টে রয়েছেন। তাঁরা অবহেলার শিকার। বঞ্চনা থেকে তাঁদের রক্ষা করার জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোয়া আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসই বিজেপির অপশাসন থেকে গোয়াকে রক্ষা করতে পারবে। তৃণমূলের নেতৃত্বেই গোয়ায় প্রকৃত উন্নয়ন হবে।