প্রতিবেদন : উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ (Joshimath) এবং কর্ণপ্রয়াগের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। বরং সেখানে নতুন করে ফের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। এরই মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা (Doda-Kashmir) জেলার একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ভূস্বর্গেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ডোডা জেলার থাথরি পুরসভার নয়িবস্তি এলাকার ২১টি বাড়িতে বড় ধরনের ফাটল দেখা গিয়েছে। বাড়ির দেওয়াল থেকে শুরু করে মেঝে পর্যন্ত ফেটে গিয়েছে। একটি মসজিদ ও একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ফাটল ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় পাহাড়ে একটি বড়সড় ধস নামে। তারপরেই একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। একই সঙ্গে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা এবং বেশ কয়েকজন ভূবিজ্ঞানীও ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রতিটি বাড়ি তাঁরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি কর্তৃপক্ষও শনিবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন-পাটনার যাত্রীকে উদয়পুরে নিয়ে গেল ইন্ডিগোর বিমান!
আপাতত ফাটল ধরা ১৯টি বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকেই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরতে শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবার ডোডা এলাকায় বড় ধরনের ধস নামে। এর পরেই ওই বাড়িগুলির ফাটল আরও দ্রুত বেড়ে যায়। একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে।
ডোডার (Doda-Kashmir) সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অথর আমিন জারগার বলেছেন, একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরার খবর মিলতেই স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ১৯টি বাড়িকে ইতিমধ্যেই বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই বাড়ির বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপারও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এলাকার পরিস্থিতি জোশীমঠের মতোই। তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, জোশীমঠের সঙ্গে কোনও তুলনা চলে না। ভূমিধসের কারণেই এই ফাটল দেখা দিয়েছে।