প্রথম রবিবার জনসমুদ্র কলকাতা বইমেলায়

Must read

অংশুমান চক্রবর্তী: কলকাতা বইমেলার (kolkata international book fair 2023) প্রথম রবিবার। ‘জাগোবাংলা’ স্টলের সামনে যেন জনসমুদ্র। ভিতরে আছড়ে পড়ছে উদ্দীপনার ঢেউ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইগুলি কিনতে ব্যাপক হুড়োহুড়ি। দিদির লেখা বই হাতে সেলফি তুলেছেন নানা বয়সিরা। রীতিমতো শারদোৎসবের মেজাজ। দুর্গা মণ্ডপের আদলে তৈরি স্টলটি ঘুরে দেখেন অগণিত মানুষ। এদিন নানা সময় স্টলে এসেছেন নেতৃবৃন্দ। দর্শক-শ্রোতারা উপভোগ করেছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবিবার পালিত হয়েছে শিশুদিবস। কচিকাঁচারা ফুলের মতো ফুটেছিল ছোটদের প্যাভেলিয়নে। ভূতের পাশে গোয়েন্দা, গোয়েন্দার পাশে রূপকথা, রূপকথার পাশে কল্পবিজ্ঞান, ছড়া, নাটক সহ নানা বিষয়ের বই সাজানো। পছন্দমতো কিনেছে ছোটরা। দুপুর থেকেই মেলায় নেমেছিল ঢল। মেট্রো, বাসে ছিল অবাক করার মতো ভিড়। সময় যত গড়িয়েছে, মেলায় বেড়েছে জনসমাগম। আনন্দ পাবলিশার্স, পত্রভারতী, দীপ প্রকাশন, করুণা প্রভৃতি স্টলে দারুণ উন্মাদনা ছিল বইপ্রেমীদের। বিভিন্ন সময় গেটের বাইরে দেখা গেছে লম্বা লাইন। দে’জ পাবলিশিং হাউসের স্টলে এসেছিলেন সাহিত্যিক শংকর। হাসিমুখে মিটিয়েছেন অটোগ্রাফ শিকারিদের আবদার। মিত্র ও ঘোষ স্টলে সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্তকে ঘিরে ধরেন সই শিকারিরা। মেলায় আসা প্রায় প্রত্যেকের হাতেই চোখে পড়েছে বইয়ের প্যাকেট। প্রকাশকরা খুশি। খুশি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকরা। তাঁদেরও দিনটা ভালই কেটেছে। এবারের ফোকাল থিম কান্ট্রি স্পেন। দেখার মতো প্যাভেলিয়ন। পাশেই থাইল্যান্ডের ছোট্ট স্টল। দেশটি প্রথমবার অংশ নিয়েছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় (kolkata international book fair 2023)। স্টলে শোভা পাচ্ছে নানা বিষয়ের বই। কয়েকটি বই বিখ্যাত থাই-ফুড নিয়ে। স্টলটি ঘিরে ছিল প্রবল উন্মাদনা। মেলায় এসেছেন বিভিন্ন জেলার পাঠকরা। এসবিআই অডিটোরিয়ামে ছিল ‘কিশোর ভারতী’ পত্রিকার অনুষ্ঠান। বসেছিল চাঁদের হাট। ছিলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মানিত করা হয় হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত, তন্ময় চক্রবর্তী, নচিকেতা মাহাত, ইন্দ্রনীল সান্যালকে। সবাইকে স্বাগত জানান ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, চুমকি চট্টোপাধ্যায়। সন্ধের দিকে আনন্দ প্রকাশন স্টলে প্রকাশিত হয় কয়েকটি বই। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে জানালেন, রবিবার রেকর্ড ভিড় হয়েছে মেলায়। আশপাশের অফিসগুলো ফাঁকা জায়গা গাড়ি রাখার জন্য ছেড়ে দিয়েছে। এইভাবেই সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কত মানুষ এসেছিলেন, কত টাকার বিক্রি হয়েছে, সে তো পরিসংখ্যান বলবে।

আরও পড়ুন-অত্যাধুনিক বডিস্যুট, পলিকার্বনেট ব্যাটন ও শিল্ড কিনছে লালবাজার

Latest article