একজন যোগ্য মানুষ সম্মানিত হওয়ায় আনন্দিত। বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মতো এমন নেত্রীকে পেয়ে গর্বিত। সোমবার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশংসায় ভরালেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সি ভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)।
সোমবার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ডিলিট প্রদান করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কৃতিত্বের প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, একজন যোগ্য মানুষ সম্মানিত হওয়ায় আনন্দিত। বাংলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো এমন নেত্রীকে পেয়ে গর্বিত।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন একটি সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি গর্বিত এমন একটি বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর শিল্প ও সাহিত্যচর্চায় পারদর্শিতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, আমার সাংবিধানিক সহকর্মীর জন্য আন্তরিকভাবে গর্ব অনুভব করছি। তিনি জানান, রাজনৈতিক কারণে এই সম্মান নয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করতে গিয়ে একদিকে যেমন প্রথিতযশা লেখক-সাহিত্যিকদের অবদানের কথা তুলে ধরেন ঠিক তেমনই মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের ‘উইংস অফ ফায়ার’-এর প্রসঙ্গও। পাশাপাশি তিনি বলেন, জ্ঞানের আরাধনা করা মানেই ঈশ্বরের আরাধনা করা। আমরা যেমন ঈশ্বরকে আরাধনা করি ঠিক তেমনই জ্ঞানের আরাধনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের সংবিধান রক্ষায় লড়াই চলবে, ডি-লিট পেয়ে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
পাশাপাশি এদিন স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুদের সংগ্রামী ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে বর্তমান প্রজন্মের পড়ুয়াদের প্রশংসা শোনা যায় রাজ্যপালের গলায়। তিনি বলেন, ছাত্রযুবরাই বাংলাকে দেশের শীর্ষে পৌঁছে দিচ্ছে। বলতে কোনও দ্বিধা নেই বাংলা আজ সবদিক থেকে দেশের মধ্যে অগ্রগণ্য। বাংলা ঘুমন্ত দৈত্যের মতো সারা বিশ্বে এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি এদিন প্রয়াত মেয়ের কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে আনেন রাজ্যপাল। তিনি উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, আমার মেয়ে আমাকে বলেছিল জীবনে সবথেকে চিন্তার বিষয় দুটি। একটি হল সুস্থতা এবং অপরটি হল অসুস্থতা।
উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষায় অবদানের জন্য সোমবার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট সম্মান দেওয়া হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিলিট সম্মান তুলে দেয় কলকাতার এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মোট ৭৭০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট সম্মানে সম্মানিত করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে ডিলিট সম্মান নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই প্রথম কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ডিলিট সম্মান দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।