প্রতিবেদন : ঘরে-বাইরে দিশাহারা রাজ্য বিজেপি। দলের মাথাদের মধ্যে প্রকাশ্য মত বিরোধ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলত্যাগ এখন রোজকার চেনা ছবি। বিধানসভার অন্দরেও পদ্ম শিবিরের নেতাদের সমন্বয়হীনতার ছবি আগে ধরা পড়েছে। সোমবার তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। এবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরোহিত্যে সোমবার বিধানসভা ভবনে ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন-ভুলে যাবেন না বামেদের অপশাসন
বিধানসভার নবনির্মিত প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী ভবনের প্রেক্ষাগৃহে বিধায়কদের পরিষদীয় রীতিনীতি সম্পর্কে আরও ভালভাবে অবহিত করতে ওই ওরিয়েন্টেশন ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ধরা পড়ে বিরোধী বিজেপি শিবিরের সমন্বয়হীনতার ছবি। চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এসে সই করে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন। সেখানে তখনও বিজেপির অন্য কোনও সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। যা দেখে তড়িঘড়ি সেখান থেকে বেরিয়ে যান বঙ্কিমবাবু। পরে সাংবাদিকদের জানান, এই ধরনের কোর্সের কোনও মূল্য নেই। কারণ এখানে যা শেখানো হয়, তা বাস্তবে কখনও কার্যকরী হয় না। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি দেখতে পান, মনোজ টিগ্গা-সহ বিজেপির অন্য বিধায়করা কোর্সে আসছেন। তিনি ফের তাঁদের সঙ্গে ভিতরে ঢুকে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টে শপথ নিলেন পাঁচ বিচারপতি
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্বে মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে বিজেপির ৫ বিধায়কই উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়কের এহেন ছেলেমানুষি আচরণ উপস্থিত সকলকে হাসির খোরাক জুগিয়েছে। পাশাপাশি দলের পরিষদীয় নেতাদের মধ্যে ফের একবার সমন্বয়হীনতার ছবি মূল অনুষ্ঠানকে ছাপিয়ে প্রধান আলোচ্য হযে উঠেছে। যাই হোক, এদিনের অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষের পাশাপাশি বিশেষ আমন্ত্রিত হিসাবে প্রবীণ পরিষদীয় রাজনীতিক সাংসদ সৌগত রায় বিধায়কদের অধিকার ও সংসদীয় আচার আচরণের নানা খুঁটিনাটি সম্পর্কে অবহিত করেন। বিধানসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটি কীভাবে কাজ করে, কীভাবে প্রশ্ন করতে হয়, তা নিয়ে বিধায়কদের নানা প্রশ্নেরও তিনি জবাব দেন। অধ্যক্ষ
আরও পড়ুন-এক লহমায় মৃত্যুপুরী তুরস্ক–সিরিয়া, প্রবল ভূমিকম্পে নিহত ২৫০০–র বেশি, সাহায্য পাঠাচ্ছে ভারত
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সাম্প্রতিক কালে পরিষদীয় ব্যবস্থার ওপর আদালতের হস্তক্ষেপের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যা কখনওই কাম্য নয়।
বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদের যথেষ্ট সংখ্যক প্রশ্ন জমা নেওয়া হয় না বলে গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক অভিযোগ করেন। জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, রাজ্য বিধানসভায় কখনওই পক্ষপাতমূলক আচরণ হয় না। বরং বিরোধীদের বেশি প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে মন্ত্রীরা অনেকে প্রস্তুত হয়ে আসেন না এবং সঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না বলে অধ্যক্ষ উষ্মা প্রকাশ করেন।