প্রতিবেদন : ফের সিবিআইকে তুলোধনা করল কলকাতা হাইকোর্ট (CBI- Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর তোপের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি (CBI- Calcutta High Court)। এসএসসি নিয়োগ মামলায় তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো সংশয় প্রকাশ করে তাদের কার্যত ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি। তিরস্কারের ভঙ্গিতেই প্রশ্ন তুললেন, নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে। জানতে চাইলেন, তাদের ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণ। কেন নিষ্পত্তি হচ্ছে না নিয়োগ মামলার? তাঁর নির্দেশ, তদন্ত তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে। কারণ, মামলা ঝুলে থাকলে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না। শূন্যপদ থেকে যাবে। এদিন অন্য এক মামলার শুনানিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোর মধ্যে আদালতে তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম পর্যায়ে হাওড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার এবং মুর্শিদাবাদের ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের হাজির হতে হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন তোলেন, ইন্টারভিউ ছাড়াই কীভাবে নিয়োগ? এসএসসি নিয়োগ মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এদিন বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন , সিবিআই কেমন করে তদন্ত করবে, সেটাও বলে দিতে হবে আদালতকে? বিচারপতি বসুর মন্তব্য, সিবিআই, কমিশন কীভাবে কাজ করবে তা আদালতকে বারবার বলে দিতে হচ্ছে, এটা মোটেই ভাল দেখায় না। বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নবাণে এদিন বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির প্রতিনিধিরা। যাঁরা টাকা দিয়েছেন এবং নিয়েছেন, ওএমআর সিট যাঁরা বিকৃত করেছেন, কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে, বিচারপতির এই প্রশ্নের মুখে পড়ে তেমন কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কেন কিছু সুবিধেভোগীকে ছেড়ে রাখা হচ্ছে, সেই প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় তাঁদের। সিবিআইকে হাইকোর্টের ভর্ৎসনা নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, আদালতই তো সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তা হলে বিচারপতিরাই এখন কেন এত ভর্ৎসনা করছেন তাদের? কেন এভাবে মনিটারিং করতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজে? তার চেয়ে তো সিআইডি বা রাজ্য পুলিশ দিয়ে তদন্ত করালে অনেক ভাল হত— মন্তব্য কুণালের।
আরও পড়ুন-ভাঙনে বিধ্বস্ত দল, বিধানসভায় ছন্নছাড়া চেহারা বিজেপির