সোমনাথ বিশ্বাস, আগরতলা: ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে সে রাজ্যে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। সঙ্গে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমাবার, সেখানে গিয়েই মমতা বার্তা দিয়েছেন, ত্রিপুরা (Tripura- Agartala) তাঁর দ্বিতীয় ঘর। মঙ্গলবার, তাঁর রোড শো-তে যেন তারই প্রতিফলন। পদযাত্রায় জনজোয়ার। একঝলক দেখলে বোঝার উপায় নেই, সেটা আগরতলার রাস্তা না কলকাতার রাজপথ। পদযাত্রায় যেমন বিপুল সংখ্যক তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন, তেমনই রাস্তার দু-ধারে উৎসুক মানুষের ঢল।
আরও পড়ুন : আদানি-কাণ্ড: LIC অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন তৃণমূলের, সংসদে আলোচনা চায় দল
১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। তার আগে এদিনের পদযাত্রা বুঝিয়ে দিল ত্রিপুরাতেও মমতার জনপ্রিয়তা। তা দেখে সেখানের শাসকদলের বুকে কাঁপন ধরা স্বাভাবিক। দুপুর ১২টার পরে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজবাড়ির সামনে দিয়ে, জ্যাকসন গেট থেকে কামান চৌমুহনি, পোস্ট চৌমুহনি, প্যারাডাইস চৌমুহনি, বটতলা, ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনি, খের চৌমুহনি, বিদুরকাতা চৌমুহনি ও আরএমএস চৌমুহনি হয়ে আবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ফেরে ব়্যালি। ৫ কিলোমিটার এই পদযাত্রা সেখানেই সভা তৃণমূল সুপ্রিমোর। থাকছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও। এদিন পদযাত্রার দিকে তাকালে দেখা গেল শুধুই জোড়াফুলের প্রতীক। আর সেই মিছিল ছাপিয়ে ভিড় রাস্তার দুধারে। মমতা-অভিষেককে একঝলক দেখতে দীর্ঘক্ষণ রোদ মাথায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন উৎসাহী জনতা। বিজেপির অত্যাচার ও বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলকেই যে ত্রিপুরার (Tripura- Agartala) মানুষ বিকল্প শক্তি হিসেবে ভাবছে সেটা স্পষ্ট বোঝাল এদিনের ভিড়।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগেই ইস্তেহার প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের ১০ অঙ্গীকার-এর ঘোষণা করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে। ক্ষমতায় এলে বাংলার ধাঁচে প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ইস্তেহারে। যদিও, একে প্রতিশ্রুতি না বলে, প্রতিজ্ঞা বলছেন অভিষেক। আর ত্রিপুরার মানুষে যে সেই অঙ্গীকারে ভরসা রাখছেন, সেই ভরসাই যেন দিচ্ছে এদিন পদযাত্রা।