১০০-য় প্রাপ্তি ২০০! অপদার্থতার নজির গড়ল বিশ্বভারতী

Must read

সংবাদদাতা, বোলপুর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতি আর অপদার্থতায় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। তেমনি তার কেন্দ্র-নিযুক্ত উপাচার্য! যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছিল সারা বিশ্বে, এখন তা কালিমালিপ্ত। সেই ঐতিহ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ আবার পুড়ল। এবার নম্বরবিভ্রাট। এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশের পর উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের নম্বর দেখে নিজেরাই ভিরমি যাচ্ছেন। ১০০-য় কেউ পেয়েছেন ২০০, কেউ ১৯৮ বা ১৫১। বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিনয়ভবনের এমএডের ফল বেরোনোর পর চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। এ নিয়ে জনসংযোগ আধিকারিক অর্নিবাণ সরকারকে ফোন করা হলেও ধরেননি। বিশ্বভারতীর নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিনয়ভবনের শিক্ষাবিভাগের প্রধান বেনুধর চীনারা দিনকয়েক আগেই দায়িত্ব নিয়েছেন।

আরও পুরোনো : নিউইয়র্ক টাইমসে মোদি বন্দনার ভুয়ো ছবি, কটাক্ষ শান্তনুর

দায়িত্ব নিয়েই পুরনো কমিটির সদস্যদের সরিয়ে নিজের পছন্দমতো অধ্যাপকদের নিয়ে কমিটি তৈরি করেন। সেই কমিটি এই মেধাতালিকা প্রকাশ করে। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, বিশ্বভারতী জুড়েই চলছে অরাজকতা। অভিভাবকহীন বিশ্বভারতীকে ঠিক পথ দেখানোর কেউ নেই! আশ্রমিক সুবোধ মিত্র বলেন, আধিকারিকরা নিজের পছন্দের লোক নিয়ে কমিটি তৈরি করে ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। বিশ্বভারতীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। একজন বিভাগীয় প্রধান মেধাতালিকায় যখন সই করছেন, তখন এই মারাত্মক ভুলের দায় অস্বীকার কোনোভাবেই করতে পারেন না।

Latest article