নয়াদিল্লি : রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ধন্যবাদজ্ঞাপক ভাষণে মঙ্গলবার আদানি ইস্যু সহ জাতীয় রাজনীতির নানা বিষয় তুলে মোদি সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংসদরা। লোকসভায় দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপক বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন-সমীক্ষা রিপোর্ট : ১০ বছরে দেশের ৭১ জন সাংসদের সম্পত্তি বেড়েছে গড়ে প্রায় ২৮৬ %
লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘এ’ নামের সংস্থার হাতে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের রিমোট কন্ট্রোল। তাঁর অভিযোগ, সেই সংস্থার মালিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফরে সঙ্গী হন। দেশের আর্থিক তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানান মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, টুপি হাতে নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রককে ‘এ’ নামক সংস্থাটি টুপি পরাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি মন্ত্রককে কার্যত কব্জা করে নিয়েছে ওই সংস্থার মালিক। লোকসভায় তৃণমূলের আরেক বক্তা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কখনও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, কখনও কেন্দ্রের পুলিশ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে বিরোধীদের অপদস্থ করা হচ্ছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী প্রতিদিন কলেজিয়ামের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এটা কি দেশের মানুষকে ভাল বার্তা দেয়? দৈনিক বিচারব্যবস্থার উপর আক্রমণ শানানো হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে একমাত্র ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া আর কেউ বিচারব্যবস্থার উপর আঘাত হানেননি। এই সরকার সেটা করছে। দেশে মহিলাদের ক্ষমতায়ন, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মহিলা সংরক্ষণ বিল আনার দাবিতে সরব হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-আদানি ইস্যুতে এসবিআই সদর দফতরে বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের
অন্যদিকে এদিন রাজ্যসভায় ডেরেক ও’ব্রায়েনের অভিযোগ, বিরোধী সাংসদরা বলতে গেলেই হট্টগোল করা হচ্ছে। ইডি, সিবিআই, সেবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করা হচ্ছে। আদানি ইদ্যুতে তাঁর বক্তব্য, সরকার কি আর্থিক তছরুপ আইন প্রয়োগ করবে? জনগণের টাকার নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সেবির। ডেরেক বলেন, রাজনৈতিক বিরোধীদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়। অথচ গত ১০ দিন ধরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার ভিত্তিতে কি লুক আউট নোটিশ জারি করা হবে না?