সংবাদদাতা,আলিপুরদুয়ার: দ্রুততার সঙ্গে জাতিগত শংসাপত্র বিলি করে গোটা রাজ্যে নজির গড়ল আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। আবেদন করার মাত্র এক মাসের মধ্যেই এক লক্ষ জাতিগত শংসাপত্র তৈরি হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাপকদের হাতে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দুয়ারে সরকার উদ্যোগে জেলা জুড়ে সাড়ে ৮৭ হাজার জাতিগত শংসাপত্রের আবেদন জমা পড়ে। এর বাইরেও বেশ কিছু আবেদন ছিল প্রশাসনের কাছে।
আরও পড়ুন : নিউইয়র্ক টাইমসে মোদি বন্দনার ভুয়ো ছবি, কটাক্ষ শান্তনুর
তার ভিত্তিতে ব্লকস্তর থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অনুসন্ধান শেষ করে, শংসাপত্র তৈরি করে ফেলেছে। যা রাজ্যে নজির। দুয়ারে সরকারে ৮৪,১৬৩ ও তার বাইরে ১৫,৩৬২টি, মোট ৯৯,৫২৫টি জাতিগত শংসাপত্র এক মাসের মধ্যে তৈরি করে তার অধিকাংশই বিলি করে রাজ্যে এক নতুন কর্মসংস্কৃতির উদাহরণ তৈরি করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। যদিও অল্পসংখ্যক আবেদন নানান ত্রুটির কারণে আটকে। না হলে সংখ্যাটা এক লাখ ছাড়িয়ে যেত। আর প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার শংসাপত্রে সই করে যিনি এই কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করেছেন, তিনি মহকুমাশাসক বিপ্লব সরকার। এছাড়াও পাঁচ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আবেদনকারীদের শুনানি, তথ্য যাচাই ইত্যাদি করেছেন।
আরও পড়ুন :.১০০-য় প্রাপ্তি ২০০! অপদার্থতার নজির গড়ল বিশ্বভারতী
মহকুমাশাসক বলেন, ‘পরিষেবা দেওয়ার জন্য সরকার মানুষের দুয়ারে যাচ্ছে। জাতিগত শংসাপত্র অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নথি, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ক্ষেত্রে । তাই প্রায় লক্ষাধিক জাতিগত শংসাপত্রে সই করে সেগুলো বিলি করছি। তবে আবেদনপত্র গ্রহণ থেকে শুরু করে শংসাপত্রের চূড়ান্ত কপি বের হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে প্রচুর সরকারি কর্মী রাতদিন এক করে একটা দল হয়ে কাজ করেছেন। তাই তাঁদেরই পুরো কৃতিত্ব পাওনা।’