সংবাদদাতা, কাটোয়া : মহাভারতের বাংলা অনুবাদক কাশীরাম দাসের (Kashiram Das) জন্ম হয় কাটোয়া ২ ব্লকের সিঙ্গি গ্রামে। সেই গ্রামে কবির জন্মভিটে সংস্কার, সংরক্ষণ ও সংগ্রহশালা তৈরির উদ্যোগ নিল ব্লক প্রশাসন। বিডিও পুষ্পেন্দু সাহা জানান, ‘কাশীরাম দাস কাটোয়ার অলঙ্কার। তাঁর ভিটে সংস্কার ও সংরক্ষণ প্রয়োজন। আমরা সেটাই বৈজ্ঞানিকভাবে করতে চাই। সেজন্য পর্যটন দফতরে ১ কোটি ৩ লাখ টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হবে।’ কবির হাতে লেখা পুঁথি নিয়ে সংগ্রহশালারও পরিকল্পনা আছে। উদ্যোগী হয়েছেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ভিটে লাগোয়া এলাকায় মাটি খোঁড়ার সময় মাটির তলায় সুড়ঙ্গ, কুঠুরি ও কবির হাতে লেখা প্রচুর পুঁথি মেলে। সেই সময় মহকুমা শাসক সৌমেন পালের তৎপরতায় সেইসব পুঁথি প্রশাসন হেফাজতে নেয়। কবির জীবন ও সৃজনকর্ম নিয়ে ফি-বছর সিঙ্গি বাস স্ট্যান্ডে কাশীরাম দাস (Kashiram Das) স্মৃতি পাঠাগারের মাঠে সপ্তাহব্যাপী ‘কাশীরাম মেলা’ হয়। প্রসঙ্গত, এই গ্রামে বসেই ১৮ পর্বের মহাভারতের সিংহভাগ অনুবাদ করেন। সময়কাল ১৫৯৫ থেকে ১৬১৩ খ্রিস্টাব্দ। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সিঙ্গি গ্রাম থেকেই মহাভারতের পুঁথি উদ্ধার করেন। সেটি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে সংরক্ষিত আছে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ১৯৩৫ সালে কাশীদাসী মহাভারত প্রকাশিত হয়। ১৩৬৮ বঙ্গাব্দে তৈরি কাশীরাম দাস স্মৃতি পাঠাগারটির সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। প্রশাসন সূত্রের খবর, খননকার্যে উঠে আসা কবির ভিটে ও কুঠুরি অবিকৃত রেখে সংস্কার করা হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় রাখা কবির পুঁথি ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র নিয়ে তৈরি হবে সংগ্রহশালা।
আরও পড়ুন-দিদির দূত অ্যাপে হবে দ্রুত সমাধান