প্রতিবেদন : বইমেলায় বেস্টসেলার (Book Fair- BestSeller) কে? ভিড়ের মধ্যে ছুঁড়ে দেওয়া প্রশ্নের উত্তরে মধ্যমগ্রামের সুদীপ্ত দে বললেন, অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি আমাদের সবার দিদি। তাঁর বই কেনার জন্যই এত উন্মাদনা। আমিও ছুটে এসেছি। ডানলপের অমৃতা সিংহরায় মজুমদারের মুখেও একই কথা। জানালেন, শুধুমাত্র দিদির বই কিনব বলেই এসেছি। প্রতি বছর বইমেলায় আসি মূলত একটি কারণেই। দিদির লেখা পড়তে ভাল লাগে। তিনি তো আমাদের কথাই লেখেন। এঁদের মতো অগণিত মানুষ ভিড় জমিয়েছেন ‘জাগোবাংলা’ স্টলে। প্রত্যেকেই মনে করেন মেলায় বেস্টসেলার (Book Fair- BestSeller) দিদিই। দুর্গামণ্ডপের আদলে তৈরি স্টলটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁরা কিনছেন মুখ্যমন্ত্রীর বই। উপভোগ করেছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বুধবার দুপুর থেকেই শুরু হয় পাঠকদের আনাগোনা। বিকেল থেকেই উপচে পড়ে ভিড়। স্টলে স্টলে দেখা গেছে পাঠকদের প্রবল উৎসাহ। সংগ্রহ করেছেন নানা বিষয়ের বই। খুশি প্রকাশকরা। ফাটাফাটি ভিড় ছিল ফুড কোর্টেও। পাশাপাশি অনেকেই কিনেছেন হস্তশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র। বইমেলায় ৯-১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নবম সাহিত্য উৎসব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মাননীয় রাজ্যপাল ড. সি ভি আনন্দ বোস, রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অংশ নেবেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকরা। প্রেস কর্নারে সেই উপলক্ষে আয়োজিত হয় সাংবাদিক সম্মেলন। ছিলেন ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুধাংশুশেখর দে, সুজাতা সেন প্রমুখ। প্রয়াত হয়েছেন সাহিত্যিক সুবিমল মিশ্র। মৃণাল সেন মুক্তমঞ্চে তাঁকে স্মরণ করে বিজল্প পত্রিকা। এসবিআই অডিটোরিয়ামে পিনাকি ঠাকুর স্মৃতি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রচেত গুপ্ত, শ্রীজাত প্রমুখ। পাশাপাশি বিভিন্ন মঞ্চে এবং কয়েকটি স্টলে বই প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে আন্তরিক অনুষ্ঠান। মেলা জুড়ে চোখে পড়েছে টুকরো টুকরো আড্ডার ছবি। সবমিলিয়ে শুরু থেকে শেষ, বুধবাসরীয় বইমেলা ছিল জমজমাট।
আরও পড়ুন-৪৮ ঘণ্টা সময় দিল তৃণমূল, ত্রিপুরা ও অসম রাজ্য ভাগের দাবিকে নস্যাৎ