সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে অপমান ও হেনস্থা করার পথ থেকে সরছেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বিভাগীয় আধিকারিক ও জেলাশাসককে নিয়ে গিয়ে অমর্ত্যর হাতে সেই জায়গার বৈধ নথিপত্র তুলে দিয়ে এসেছেন। তার পরও ওঁকে জমি ছাড়ার নোটিশ দিয়ে চলেছে বিশ্বভারতী। এদিন নোটিস পাঠানো নিয়ে রীতিমতো নাটকও করল। একবার দিয়ে প্রত্যাহার করে আবার পাঠানো হল। তাতে ৯৯ বছরের লিজে দেওয়া জায়গার মাপজোক করতে চাওয়া হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে সরকারি নথির উপর আস্থা রাখছেন না উপাচার্য।
আরও পড়ুন-বাংলার সাহিত্যচর্চাকে প্রশংসা রাজ্যপালের
অমর্ত্যকে নিজস্ব সার্ভেয়ার বা উকিলকে সঙ্গে থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, অমর্ত্যক সেনের সময়মতো দিন-তারিখ বা সময় অনুযায়ী দুটি দিনের অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ানে আরেক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য নিজেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী বলতে চেয়েছেন। বাঙালি জাতিকে নিন্দুক বলে অভিহিত করে রবীন্দ্রনাথকে আশ্রয় করে বলেছেন, নিন্দুকেরা না থাকিলে জীবনের গৌরব থাকিত না। ওঁর দাবি, বেশ কিছু বিখ্যাত বাঙালি বিশ্বভারতীর জায়গা কবজা করেছেন। উপাচার্যের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী জমি জরিপের কথা বলেননি। জরিপ হলেই সঠিক তথ্য প্রকাশ পাবে।