প্রতিবেদন: দিল্লির জামিয়া নগরের নুর নগর এলাকায় একটি মন্দির অবৈধভাবে ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা চলছে। সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দিতে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানালেন এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষ থেকে এক আবেদনে হাইকোর্টকে জানানো হয়, এলাকার কিছু অসাধু প্রোমোটার ওই মন্দির ভেঙে বহুতল গড়ে তুলতে চায়। ওই প্রোমোটাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে কিছু স্থানীয় দুষ্কৃতী। কিন্তু তাঁরা চান না, কোনোভাবেই ওই মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হোক।
আরও পড়ুন : নৃশংস, তালিবানকে সমর্থন না করায় বাবার সামনেই খুন শিশু
জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মূর্তি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনকী, মন্দির চত্বরে থাকা একটি ধর্মশালা খুব দ্রুত ভেঙে ফেলা হয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর আগে মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল। সেখানে প্রতিদিনই পুজোপাঠ হয়ে থাকে। মন্দিরটি যাতে অসাধু প্রমোটাররা কোনওভাবেই ভাঙতে না পারে সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক আদালত।
আরও পড়ুন : পরিকল্পনা করেই দিল্লিতে দাঙ্গা বাধানো হয়েছিল, বলল হাইকোর্ট
শুধু তাই নয় ওই আবেদনে বলা হয়েছে, মন্দির ভাঙাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যাতে কোনওভাবেই অশান্তি না ছড়ায় সে বিষয়টিও যেন সুনিশ্চিত করে আদালত। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশকে এক নির্দেশ জানিয়েছে, কোনওভাবেই যাতে ওই মন্দিরের গায়ে একটি আঁচড়ও না লাগে তা দেখবে পুলিশ। পাশাপাশি এলাকায় যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে সে বিষয়েও পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। জামিয়ানগর এলাকার এই ঘটনা গোটা দেশের কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন বলে সকলেই মনে করছেন।