প্রতিবেদন : ১০ লক্ষ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। অথচ গৌতম আদানির নাম মুখেই আনছেন না দেশের সবচেয়ে বিব্রত রাজনীতিক নরেন্দ্র মোদি (Rajya Sabha- Narendra Modi)। রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার বলতে ওঠার পরেই তৃণমূলের (TMC) নেতৃত্বে বিরোধীরা নেমে এলেন ওয়েলে। স্লোগান উঠল আদানি-মোদি ভাই-ভাই। বিব্রত রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও। অনেক অনুরোধ উপরোধ। তবু থামানো গেল না। বেচারা প্রধানমন্ত্রী বাধ্য হলেন বসে পড়তে। কিন্তু স্লোগান চলল। প্রধানমন্ত্রী এরপর ভাষণ দিলেন ওই স্লোগানের মাঝখানেই। এই প্রথম আদানিকাণ্ডে বিব্রত প্রধানমন্ত্রী বলতে বলতে বারবার খেই হারালেন। ভাষণে নাটকও উধাও। বারাবার কংগ্রেসকে আক্রমণ। গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ। পদবি ব্যবহার নিয়ে আক্রমণ। অথচ প্রধানমন্ত্রীর বৈবাহিক জীবন নিয়ে মন্তব্য করলে মামলা নয় অন্যভাবে রাজনৈতিক আক্রমণ।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় প্রচারে ঝড় অভিষেকের
লোকসভার মতো রাজ্যসভার ভাষণে আদানি প্রসঙ্গে ধারকাছ দিয়ে গেলেন না প্রধানমন্ত্রী (Rajya Sabha- Narendra Modi)। বিরোধীদের সমবেত প্রতিবাদে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন। ৬০ বছরে কিছু হয়নি, যা হচ্ছে সবই নাকি তাঁর আমলে! একথা শুনতে শুনতে বিরোধীদের স্লোগানেরও আওয়াজ বেড়েছে। নির্লজ্জের মতো রাজ্যসভা টিভি বিক্ষোভ সেন্সর করল। সংসদে বিষয়টি তুলবেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, দু’দিনে দু’কক্ষ মিলিয়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী। অথচ একটি শব্দ বললেন না এলআইসি-এসবিআই নিয়ে কিংবা আদানি প্রসঙ্গে। বোঝাই যাচ্ছে কতখানি বিপদে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেভাবে বিরোধীদের রাজ্যসভা টিভি সেন্সর করেছে তা পাঁচ দশক আগে জরুরি অবস্থার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।