বিধিসম্মত সতর্কীকরণ : তৃণমূল কংগ্রেস শান্তি, সম্প্রীতি, ঐক্য, সহিষ্ণুতা, সংযমের পক্ষে। তৃণমূল হিংসা বা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস করে জনগণের মতামতে। কিন্তু হঠাৎ কিছু ঘটনা ঘটে, যার পরিপ্রেক্ষিতে অকারণ তৃণমূলকে আক্রমণ করা হয়। সেই বিষয়েই কয়েকটি কথা। ভোট এলে প্রচার হবে
ভোট আসবে। প্রচার হবে। সব দল প্রচার করবে। এটাই তো স্বাভাবিক। তৃণমূল যেমন প্রচার করবে, তেমন অন্য সব দল করবে। এটাই গণতন্ত্র। তৃণমূল কংগ্রেস এটা মেনে চলে।
আসলে এক, নাটকে আর এক
আজকালকার দিনে কোনও এলাকার প্রচার বাইরে থেকে দেখে বোঝা মুশকিল। যে ধাক্কাটা বিজেপি বিধানসভায় খেয়েছে। বুথস্তরের মানুষ জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে। আর টিভি, কাগজ, সোশ্যাল মিডিয়া, আইটি সেলের ফানুসে মনে হচ্ছে কত যেন যুদ্ধ চলছে। ফলাফল তো ২১৩-৭৭। উপনির্বাচনেও তাই। মানুষ তৃণমূলনেত্রী তথা ঘরের মেয়ের পাশে। কিন্তু বাকিরা নাটকের মাধ্যমে বায়বীয় লড়াইয়ের ধারণা দিচ্ছে। মিডিয়া ব্যস্ত টিআরপি বাড়ানোর হাইপ তুলতে। এখানে প্রতি পরিবারের জন্য থাকা স্কিমগুলি গৌণ, এখানে জনভিত্তিহীন বিজেপির রাস্তায় বসে নাটকবাজি স্ক্রিনে হাজির। এতে কি আর মানুষের মন বদলায়? গদ্দারদের কুৎসা
আরও পড়ুন : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির, মন্দির রক্ষা করতে আদালতের দ্বারস্থ মুসলিমরা
ভোটের প্রচার হবে। তৃণমূল বলবে বাকিদের বিরুদ্ধে। বাকিরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নীতি আর কাজের ইস্যু থাক। মতপার্থক্য হবেই। তবু নীতিগত যুক্তির লড়াই হোক। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন থেকে নতুন ট্রেন্ড। রাজনৈতিক দেউলিয়া প্রতিপক্ষ ব্যক্তিকুৎসায় নেমেছে। জননেত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ। সিবিআই, ইডির অপব্যবহার। চরিত্রহনন। বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করে রায় দিলেন। হার হজম করতে না পেরে আরও প্রতিহিংসার তীব্রতা। বিজেপি, আর এস এসের সাধারণ বক্তাদের দেখুন। তারা তো করবেই। আর দেখুন গদ্দার, বেইমানগুলোকে। আচ্ছা, ভবানীপুর বা বাংলার সাধারণ কর্মীরাও তো মানুষ। যাঁরা প্রত্যক্ষ কর্মী নন, সাধারণ নাগরিক, তাঁদেরও তো মন আছে। তাঁরা যখন দেখেন যে ঘরের মেয়ের দীর্ঘ আন্দোলন, জীবন বাজি রাখা লড়াইয়ের মঞ্চের সুযোগ নিয়ে যে গদ্দাররা এই তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী হয়েছিলেন, তাঁরা ব্যক্তিস্বার্থে সেই নেত্রীকে বা অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত মিথ্যা বিষোদ্গার করছেন, তখন রাগ হয় না? এখানকার মানুষ দেখেছেন, এঁদের পরিচয়, প্রতিষ্ঠার পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্যাগ, সংগ্রাম, রক্ত। মানুষ দেখেছেন এই শুভেন্দু, দীনেশরা এখানে ঘুরঘুর করতেন। এরা কে? এরা কারা? একজনের গোটা পরিবার নেত্রীর দয়ায় জনপ্রতিনিধি। আর শিকড়হীন দীনেশ? বারবার তাকে রাজ্যসভা দিয়েছেন নেত্রী, এমনকি লোকসভা হারার পরেও। শুভেন্দু গ্রেপ্তারি এড়াতে বিজেপিতে গিয়েছে। কদিন আগেও এরা বলত মোদি হঠাও দেশ বাঁচাও। এই নরকের কীটগুলো যখন ভোটপ্রচারের সুযোগে এসে নেত্রীকে কুৎসিত আক্রমণ করে, জঘন্য ভাষা বলে, তখন এই এলাকার মানুষের মনে কি আগুন জ্বলে না? তাঁরা ভাবেন আমরা কি আঙুল চুষব? আসলে এই গদ্দারদের ভাষণগুলোই প্ররোচনা। মানুষ হিসেবে এরা নোংরা। এদের আনুগত্য নেই। কৃতজ্ঞতা বোধ নেই। এরা সস্তা সাময়িক সুবিধাবাদী ভেসে থাকার আর সিবিআই থেকে বাঁচার রাজনীতিতে ব্যস্ত। এই ধারাবাহিক প্ররোচনা থেকেই কোথাও কোথাও মানুষের বিক্ষোভ তৈরি হয়ে যায়। তা নিয়েও নাটক করে বিজেপি। তৃণমূল সকলকে বলছে, সহিষ্ণুতা রাখুন। লড়াই ভোটের বাক্সে। ওদের মুছে দিতে হবে।