প্রতিবেদন : রেকর্ড সময়সীমার মধ্যে প্রকাশিত হল টেটের ফল। পরীক্ষার মাত্র দু’মাসের মাথায় শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ফল জানিয়ে দিলেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে এত কম সময়ের মধ্যে এর আগে কখনও এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়নি। পরীক্ষা হয়েছিল গত ১১ ডিসেম্বর। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১০২।
আরও পড়ুন-পরীক্ষার্থীদের ভরসা দিতে যুগান্তকারী একাধিক পরিবর্তন এনেছে পর্ষদ : শিক্ষামন্ত্রী
১৫০-র মধ্যে ৬০ শতাংশ নম্বর অর্থাৎ ৯০ পেয়ে পাশ করেছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। প্রথম হয়েছেন বর্ধমানের ইনা সিংহ। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন ৫ জন। তৃতীয় ৪ জন। প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন ১৭৭ জন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বচ্ছভাবে ফলপ্রকাশ করা হয়েছে। তিনি স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, দালালের ফাঁদে পা দিলে তার দায় পর্ষদের নয়। কোনও পরীক্ষার্থী ওএমআর শিট যদি দালালকে দেন, তার দায়ও মোটেই পর্ষদের নয়। এমন ঘটনা ঘটলে দালাল যতটা দায়ী, প্রার্থীও ঠিক ততটাই দায়ী। শিক্ষামন্ত্রীর কড়া বার্তা, কোনও পরীক্ষার্থী দালালের ফাঁদে পা দেবেন না। মেধা, শ্রম, যোগ্যতা এবং অবশ্যই পর্ষদের স্বচ্ছতার উপরে ভরসা রাখুন। ফলপ্রকাশের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
আরও পড়ুন-ভারতে এবার মিলল লিথিয়াম খনির সন্ধান
ব্রাত্য বসু জানালেন, পরীক্ষা বানচালের অপচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু এমনভাবে টেট নেওয়া হয়েছে তাতে কোনও ছিদ্র বা ফাঁক ছিল না। লখিন্দরের বাসরঘরের মতো ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কালনাগিনীরও ঢোকার উপায় ছিল না। তাঁর বক্তব্য, বেশ অসুবিধের মধ্যেই ফলপ্রকাশ করেছে পর্ষদ। নিয়োগে স্বচ্ছতার প্রশ্নে রাজ্য যে যথেষ্ট সচেষ্ট তা মনে করিয়ে দেন তিনি। তাঁর সতর্কবার্তা, কোনওরকম প্ররোচনার ফাঁদে পা দেবেন না।
পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, ২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেটের নিয়োগ চলছে। এরমধ্যেই এবারের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে শুরু করা হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।