প্রতিবেদন : গেরুয়া-নাটক জমল না৷ মঙ্গলবার হাইকোর্টে জোড়া ধাক্কা খেল বিজেপি৷
জনতার আদালতে গত মে মাসে পর্যুদস্ত হওয়ার পর ভবানীপুরের উপনির্বাচন বন্ধ করতে দল বেঁধে পিছনের দরজা দিয়ে হাইকোর্টে পা রেখেছিল বিরোধীরা৷ উপনির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে৷ এদিন হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভবানীপুর উপনির্বাচন হবে নির্দিষ্ট দিনেই, অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, নির্ঘণ্ট মেনেই হবে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন। কলকাতা হাইকোর্ট ভোটের ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ করছে না।
ওদিকে, বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিজেপির এক বিধায়ক নিয়োগ খারিজ করার আর্জি জানান হাইকোর্টে৷ এদিন সেই মামলারও রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন : গদ্দারদের বেলাগাম কুৎসা, কর্মীরা কি আঙুল চুষবে? : কাশীরাম দাস
রায়ে স্পষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে, মুকুল রায় বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি বা পিএসি-র চেয়ারম্যান থাকবেন কি না, তার সিদ্ধান্ত নেবেন বিধানসভার স্পিকারই। প্রসঙ্গত, গত ২৪ অগাস্ট পিএসি মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, পিএসি চেয়ারম্যান হতে কি কোনও রাজনৈতিক ছাড়পত্র লাগে? তিনি পাশাপাশি জানতে চান, পিএসি-র চেয়ারম্যান কি বিরোধী দল থেকে করাটাই নিয়ম? রাজ্যের তরফে এ বিষয়ে হলফনামা পেশ করে জানানো হয়েছিল, সংবিধানে ২১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, বিধানসভার অন্দরে কোনও বিষয় যদি বিচারাধীন অবস্থায় থাকে, তাহলে তাতে বিচার ব্যবস্থার রায়ের কোনও এক্তিয়ার থাকে না।
হাইকোর্টের এই জোড়া নির্দেশে কার্যত ভেস্তে গিয়েছে বিজেপির সংকীর্ণ খেলা৷ ভবানীপুরে বিজেপির লজ্জাজনক পরাজয় নিশ্চিত৷ মুখরক্ষায় তাই আদালতের শরণাপন্ন হয় বিরোধী শিবির৷ চেষ্টা ছিলো, এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন বন্ধ করার৷ কিন্তু হাইকোর্টকে ভুল বোঝানো যায়নি৷ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ভবানীপুরে ভোট হবেই। আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, বিজেপি ভয় পেয়েছিল। রেকর্ড ব্যবধানে হেরে যাওয়ার আতঙ্কে এই সব করছে। কিন্তু বাংলার মা, মাটি, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে৷ ভবানীপুরও ‘ঘরের মেয়ে’-কেই চাইছে৷