প্রতিবেদন: সরকারের ঘনিষ্ঠ হয়ে যেসব পুলিশ অফিসার অবৈধ পথে রোজগার করেন তাদের জেলে থাকা উচিত। মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। সাসপেন্ড হওয়ার আইপিএস অফিসার গুরজিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি, দেশদ্রোহিতার মতো একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছে ছত্তিশগড় সরকার। এ ধরনের একাধিক মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন সাসপেন্ড হওয়া ওই আইপিএস অফিসার।
আরও পড়ুন-বিপ্লবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক কোর্ট, আর্জি বিজেপি নেতার
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত প্রথমে গুরজিন্দরকে গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষা দিতে সরাসরি অস্বীকার করেছিল। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ওই সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ অফিসারকে জানিয়ে দেয়, তিনি এভাবে প্রতিটি মামলায় গ্রেফতারি থেকে সুরক্ষার জন্য আবেদন জানাতে পারেন না। বেঞ্চ আরও বলে, সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে যখন অনৈতিক ও অন্যায় সুবিধা নেন তখন আপনাদের খেয়াল থাকে না। তাই ভবিষ্যতে আপনাদের অনৈতিকভাবে পাওয়া ওই সুবিধা সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় পুলিশকর্মীদের মধ্যে সরকারি ঘনিষ্ঠতার সুযোগে অন্যায় ও অনৈতিকভাবে রোজগার করার প্রবণতা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে বিস্ময় প্রকাশ করে বেঞ্চ।
আরও পড়ুন-আদালতে জোড়া ধাক্কা খেল বিজেপি
এদিনের শুনানিতে গুরজিন্দরের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতারি থেকে রক্ষা করতে সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আইনজীবীর ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সুরক্ষার কথা ভাবছেন কীভাবে। বরং এ ধরনের পুলিশ অফিসারের জেলেই ঠাঁই হওয়া উচিত। যদিও এদিন শুনানি শেষে গুরজিন্দরের অন্তর্বর্তী সুরক্ষার আবেদনটি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ মঞ্জুর করেছে।
উল্লেখ্য, ছত্রিশগড়ের দুর্নীতি দমন শাখার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই গুরজিন্দরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়েছে। দুর্নীতি দমন শাখা শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে, গুরজিন্দরের আয়ের তুলনায় সম্পত্তির পরিমাণ বহুগুন বেশি। তাছাড়া তাঁর কাছ থেকে এমন কিছু নথিপত্র মিলেছে যা থেকে স্পষ্ট যে, তিনি সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিলেন।