প্রতিবেদন : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে (turkey-Syria Earthquake) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা এখানেই থেমে থাকবে না বলে উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা। কারণ প্রতিদিনই যত ধ্বংসস্তূপ সরানো হচ্ছে ততই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মিলছে একের পর এক নিথর দেহ।
সোমবার সকালের এই ভূমিকম্পকে বিগত এক দশকে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূমিকম্পের কারণে শুধু সিরিয়াতে ৫ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। তাঁদের কাছে দ্রুত ত্রাণ না পৌঁছলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তুরস্কে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণকাজের জন্যই বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তুরস্ককে নতুন করে গড়ে তুলতে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা। ভারতীয় সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা তুরস্কে জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। এই উদ্ধারকাজে তাদের সহযোগী হয়েছে চার সারমেয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই সারমেয় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা একের পর এক মানুষের সন্ধান দিচ্ছে। শুক্রবার হাটায় শহরে এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন-ড্রোনের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি শীঘ্রই চালু হবে কলকাতায়
ওই কিশোর জানিয়েছে, গত কয়েকদিন সে নিজের মূত্র পান করে দিন কাটিয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দশদিনের সন্তান-সহ এক মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উদ্ধারকারীরাও ওই ১০ দিনের সন্তানকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে বিস্মিত হয়েছেন। এরই মধ্যে তুরুস্কে (turkey-Syria Earthquake) প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট তাইপে এরদোগান। আর কিছুদিন পরেই তুরস্কে নির্বাচন হওয়ার কথা। আমজনতা স্পষ্ট হুমকি দিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে তারা এরদোগানকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবে।