সংবাদদাতা, মথুরাপুর : জয়নগর ২ নং ব্লকে শুরু হল বিনাকর্ষণে সূর্যমুখী ও ভুট্টা ফলনের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ। এই চাষ করে লাভবান হয়েছেন প্রান্তিক কৃষক জয়দেব পুরকাইত। তাঁর এই সাফল্যের পর এই চাষ দেখতে সেখানে উপস্থিত হন গ্রামবাসীরা। জয়দেব পুরকাইতের বাড়ি ৯ নং সোনাটিকারিতে। সেখানে তাঁর মতো আরও ৪০ জন কৃষক এই চাষ করেছেন। মূলত এই এলাকায় আগে আলু চাষ হত। সেক্ষেত্রে জলের অপচয় হত প্রচুর। এদিকে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে জলের সংকট।
আরও পড়ুন-ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নানে অংশ নিল লাখো মানুষ
চাষের জন্য জল পাওয়া যায় না বহু জায়গায়। সেই সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয়েছে জয়নগর ২ নং ব্লক কৃষি দফতর। সমস্যার সমাধান করতে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে ড্রিপ মেশিন। যার সাহায্যে জল ফোঁটা ফোঁটা করে ফেলা হচ্ছে নির্দিষ্ট জায়গায়। ফলে জলের অপচয় রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। সেই সঙ্গে জমিতে বিনাকর্ষণে কীভাবে চাষ করা যায় সেই দিকটিও দেখানো হচ্ছে কৃষকদের। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে বলা হচ্ছে ড্রিপ ইরিগেশন অ্যান্ড নো টিলেজ সিস্টেম। যার মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই কাজ খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান জয়নগর ২ নং ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা অন্তিমা হালদার, বিডিও সৌরভ মাঝি-সহ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন-মোদির আচ্ছে দিন, ৩ বছরে আত্মঘাতী ১ কোটি ১২ লাখ দিনমজুর, লোকসভায় প্রকাশ তথ্য
শীতের শুরুতেই এলাকায় শুরু হয়েছিল সূর্যমুখী ও ভুট্টা চাষ। মূলত বর্ষার সময় নিচু জমিতে জল জমে থাকে। সেই জল শুকিয়ে জমি তৈরি করতে অনেকটাই সময় লেগে যেত কৃষকদের। তবে এবার এই পদ্ধতিতে কৃষকদের জমিতে আর কোনও কর্ষণ করতে হবে না। তাঁরা সরাসরি জমিতে বীজ বপন করবেন। জমির কোনও বাহ্যিক পরিবর্তন না করেই। এক্ষেত্রে জমির নরম মাটিতে নির্দিষ্ট দূরত্বে দুটি করে দানা বপন করা হচ্ছে। এই চাষের মাধ্যমে কৃষকরা ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৩ কুইন্টাল সূর্যমুখীর দানা তুলতে পারবেন।