প্রতিবেদন : ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপর্যয় সম্পর্কে নিশ্চিত তৃণমূলের সাংসদ বিশিষ্ট অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের এক জনসমাবেশে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, লোকসভায় হারবেই বিজেপি। পাশা উল্টে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তিনিই হবেন গেম-চেঞ্জার। ১০০ আসনও জুটবে না বিজেপির।
আরও পড়ুন-রেলের নিরাপত্তায় গলদ, ট্রেন থেকে ফেলা হল যাত্রীকে
এদিনের সভায় মানুষের সমাবেশ ছিল নজর কাড়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বের বিশেষ দিকগুলি তুলে ধরে স্টার-সাংসদের মন্তব্য, জয়প্রকাশ নারায়ণের পরে দেশে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, বাজপেয়ী ছিলেন ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু এখনকার বিজেপির নীতি সম্পূর্ণ জনবিরোধী। এই জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেত্রীর হাত শক্ত করতে হবে। কেন্দ্রীয় বাজেটের জনবিরোধী দিকগুলি চিহ্নিত করে রাজ্য বাজেটকে জনদরদি বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেশের মধ্যে একটা দৃষ্টান্ত। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন ছিলেন বিজেপির প্রতি আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক। সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা— কাউকেই রেয়াত করেননি তিনি।
আরও পড়ুন-নিশীথের বাড়ি ঘেরাওয়ে ২৫ হাজার কর্মী
দু’জনকেই তুলোধোনা করেন মুখপাত্র। তাঁর শ্লেষাত্মক মন্তব্য, যে নাড্ডা নিজের রাজ্যে দলকে ডুবিয়ে দেন, বিপর্যয় সামাল দিতে পারেন না, তিনি আবার এখানে এসে বড় বড় কথা বলেন কোন মুখে? বিরোধী দলনেতার দ্বিচারিতার নানা উদাহরণ তুলে ধরেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। শুভেন্দুর গদ্দারি এবং বেইমানি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে দেন তিনি। সাধারণ মানুষের স্বার্থে এবারের রাজ্য বাজেটের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন কুণাল। সভায় বক্তব্য পেশ করেন মন্ত্রী অখিল গিরিও। উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ দাস, তরুণ মাইতি প্রমুখ। এদিনের জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নেতাদের বক্তব্য শুনে তাঁরা তুমুল হর্ষধ্বনি দিয়ে সমর্থন জানান।