প্রতিবেদন : রাজ্যপাল পদটি সাংবিধানিক। কিন্তু এই পদকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিজেপি। রাজ্যপালদের এজেন্টের কাজ করাচ্ছে বিজেপি। কেরল থেকে বাংলা— এই ঘটনাই ঘটে চলেছে। শুক্রবার হাওড়ায় সিপিএমের খেতমজুর ইউনিয়নের সমাবেশে এই মন্তব্য করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি ইংরাজিতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। ওই বক্তৃতার বাংলা তর্জমা করছিলেন আলিমুদ্দিনের নিযুক্ত হাওড়ার এক সিপিএম নেতা। কিন্তু বিজয়নের বাংলার প্রতি রাজ্যপালের মনোভাব ও কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলতেই তা অনুবাদক বাদ দিয়ে দেন। তাহলে কি রাম-বাম জোটকে আরও মজবুত করতেই আলিমুদ্দিনের এই নির্দেশ?
আরও পড়ুন-জঙ্গলমহলের সঙ্গে জুড়ল উত্তরবঙ্গ
বিজয়নের বক্তব্য বাদ দিয়ে দেওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিজয়ন তাঁর ইংরাজি বক্তৃতায় স্পষ্ট করে বলেন, যেসব রাজ্য বিজেপি-আরএসএস-এর বিরোধীতা করছে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের আক্রমণ করছে। কেরল, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে রাজ্যপালরা কেন্দ্রের ঠিক করে দেওয়া অ্যাজেন্ডা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধীতায় নেমেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিজয়নের অভিযোগ, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে রাজভবনের দখলদারির প্রবণতা তৈরি হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হল বিজয়ন এইসব কথা বললেও সিপিএমের ওই অনুবাদক সৌভিক ঘোষ এড়িয়ে যান।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
দলীয় সূত্রের খবর, তিনি হাওড়া জেলার সিপিএমের সোস্যাল মিডিয়ার দায়িত্বে। ধনখড়ের আচরণ নিয়ে বিমান বসুও সমালোচনা করেছিলেন প্রকাশ্যে। কিন্তু বিজয়নের সঙ্গে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ত। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিজয়ন এসব বলেছেন। সমালোচিত হয়ে সিপিএমের ওই তজর্মাকারি সাফাই দিয়েছেন, বক্তৃতার কপি হাতে না থাকায় অনুবাদে সমস্যা হয়েছে। এসম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এটা পুরোটাই উদ্যেশ্যপ্রণোদিত। আসলে বাংলায় সিপিএম বিজেপিকে সাহায্য করতে চায়। সিপিএমের গোটা বিষয়টাই ধোঁয়াশায় মোড়া। মনে রাখবেন, কেরলে পিনারাই বিজয়নরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। আর পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গে জোট করে।