প্রতিবেদন : বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না মোদি ঘনিষ্ঠ আদানি শিল্পগোষ্ঠীর (Adani Group)। সম্প্রতি নরওয়ের বৃহত্তম পেনশন তহবিল কেএলপি আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের পুনর্নবীকরণযোগ্য শেয়ারের সম্পূর্ণ হোল্ডিং ছেড়ে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের শেয়ার কেএলপি-র অজ্ঞাতসারে জমানত রেখে বিশ্বের সবচেয়ে দূষণকারী কিছু প্রকল্পের জন্য বিনিয়োগের পুঁজি সংগ্রহ করা হয়েছে। আদানিরা (Adani Group) তাদের গ্রিন এনার্জি কোম্পানির শেয়ার এমন কাজে জমানত হিসাবে ব্যবহার করছে, যা আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার কারমাইকেল কয়লা খনিকে বিনিয়োগে সহায়তা করেছে। কেএলপি-র বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান কিরণ আজিজ সংবাদসংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কেএলপি তার পোর্টফোলিও থেকে কয়লাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, তাই কারমাইকেল প্রকল্পের যে কোনও পরোক্ষ বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল। মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিপুল শেয়ার জালিয়াতির রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই বিনিয়োগকারীরা আদানি সংস্থাগুলির শেয়ার বিক্রি করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কিন্তু পরিবেশগত, সামাজিক এবং প্রশাসনিক আদেশের ভিত্তিতে চলা বিনিয়োগকারীরাও এবার আদানিদের কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন। ২০২০ সাল থেকে আদানি গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখছে সুইডেনের অ্যানথ্রোপোসিন ফিক্সড ইনকাম ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী উলফ এরল্যান্ডসন বলেছেন, আদানি গোষ্ঠীর অন্যান্য অংশে বিনিয়োগ করা পুঁজি ছিদ্রপথে কারমাইকেলের তহবিলে পৌঁছে যাচ্ছে। গ্রিনফিল্ড থার্মাল কয়লা খনির তহবিলের উপর বিধিনিষেধ আছে এমন বিনিয়োগকারীদের এবার আদানিদের কাজ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে নথিভুক্ত পরিবেশগত, সামাজিক এবং প্রশাসনিক আদেশের ভিত্তিতে চলা বিনিয়োগকারীদের ৫০০টিরও বেশি তহবিল আদানি স্টকগুলিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত আছে৷
আরও পড়ুন:দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্ট্রান্স টেস্টের প্রস্তাব ইউজিসির