আজ বুধবার গাড়োতে রাজাবালায় জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (Meghalaya Assembly Election 2023)। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে বিরোধী থেকে শাসক দল সকলেই এগিয়ে থাকতে চাইছে। গতকালই মেঘলায়ে দুটি জনসভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-আপাতত পাহাড় বনধের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটলেন বিনয় তামাংরা
এদিন তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘মেঘালয়ে সরকার পরিবর্তন হবেই। গত এক বছর ধরে এখানে আমরা কাজ করে চলেছি। আপনাদের চিকিৎসার জন্য কলকাতা বা গুয়াহাটি যেতে হয়। কলকাতায় সবসময় স্বাগত। আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবায় অনেক সুবিধা রয়েছে। আমরা আপনাদের বন্ধু। সেই বন্ধুত্ব আমরা বজায় রেখে চলেছি। গত পাঁচ বছর ধরে থাকা এই সরকারের অধীনে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এখানে কোনও মেডিকেল কলেজ, ভাল রাস্তা নেই। তবে এখানে দুর্নীতি রয়েছে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বদলে ফেলুন।কিন্তু মেঘালয়ে কেন ভাল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ভাল রাস্তা হবে না? এখানে বেকারত্বের সমস্যা কেন দূর হবে না? মেঘালয়ের মা-বোনেরা কেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না? এখানকার যুবদের প্রচেষ্টা কেন সফল হবে না?’
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ৫ গুণ বরাদ্দ বাড়ল
এদিন তিনি বলেন, ‘সব জাতি, সম্প্রদায়, ধর্মের মানুষরা একসঙ্গে তৃণমূলকে ভোট দেবেন। যাতে তৃণমূল একাই মেঘালয়ের উন্নয়ন করতে পারে।’
কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন এদিন মমতা বলেন, ‘কথায় কথায় পুলিশের গুলি। যাঁরা সেই গুলিতে মারা যান তাঁদের একবারও তো দেখতে আসেন না। কটা কেন্দ্রীয় দল পাঠান? আমাদের বাংলায় কথায় কথায় কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে দেয়। আর মানুষের ঘরে এসে অত্যাচার চালায়। আপনাদের এখানে সীমান্তে গুলি চলে। কত মানুষ মারা যায়, একবারও ফিরে তাকায় না| আমি খবর পেয়েছি গতকালও বিএসএফ ক্যাম্পের মধ্যে এক মা-কে, আমার বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অনেক অত্য়াচার সহ্য করে আমরা বেঁচে রয়েছি। মনে রাখবেন মেঘালয়ের মানুষদের জন্যই মেঘালয়। সেখানে বহিরাগতরা এসে কখনও এনআরসি, ক্যা (সিএএ), গুলি চাপিয়ে দেবে। এটা আর সহ্য করবেন না|’