‘সবার সঙ্গে থাকাটাই বড় ধর্ম’, পাশে থাকার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বুধবার গাড়োতে রাজাবালায় জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই জনসভায় তিল ধারণের জায়গা নেই।

Must read

বুধবার গাড়োতে রাজাবালায় জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই জনসভায় তিল ধারণের জায়গা নেই। বলা যায় ঐতিহাসিক জনসভা দেখল মেঘালয়। বিধানসভা নির্বাচন (Meghalaya Assembly Election 2023) আর বেশি দেরি নেই। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে নির্বাচন। শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে সকলেই এগিয়ে থাকার চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন-‘মেঘালয়ে সরকার পরিবর্তন হবেই’, আত্মবিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিন মেঘালয়ের মানুষের পাশে এবং সব ধর্মের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা সব ধর্মকে সম্মান করি। আমি মন্দির, মসজিদ, দরগা, গির্জা সহ জনজাতিদের উৎসবেও আমি যাই। কারণ আমার মনে হয় সকলের সঙ্গে থাকা আমার দায়িত্ব। সবার সঙ্গে থাকাটাই বড় ধর্ম।’

আরও পড়ুন-আপাতত পাহাড় বনধের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটলেন বিনয় তামাংরা

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলায় আমরা দুর্গা পুজোও করি এবং ইদ মুবারকও করি। আপনাদের রমজান মাস আসছে। আমি আগাম রোজা মুবারক জানিয়ে যাচ্ছি। হোলির জন্য আগাম হোলি মুবারক, আগাম দোলযাত্রা জানিয়ে যাচ্ছি। মেঘালয়েও সব ধর্মের উদযাপন হবে দেখতে চাই। শাসক দলের ধ্বংসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে মেঘালয়বাসী লড়াই করবেন|’

আরও পড়ুন-স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ৫ গুণ বরাদ্দ বাড়ল

বাংলার রাজ্য সরকারি প্রকল্পের কথা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মেঘালয় চালাবে মেঘালয়ের মানুষ। পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা লক্ষ্মীশ্রী পায়। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য কন্যাশ্রী আছে। আমরা উত্তর-পূর্ব বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চাই। ত্রিপুরায় নির্বাচনের নামে ভয় দেখিয়ে ভোট করেছে। একজোট হয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করুন। মেঘালয়ে তৃণমূল জিতলে বাংলা থেকে টিম পাঠিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য় করব। মেঘালয়ে তৃণমূলকে জেতান, দিল্লি থেকে বিজেপিকে তৃণমূলই হঠাবে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে বদল করুন, তৃণমূল নতুন সকাল আনতে। এই কদিনে টাকা-পয়সা দিয়ে ভোট কিনে নিতে পারে। আবার ঘরে ঢুকে টাকা-পয়সা কেড়েও নিতে পারে। আমাদের বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মা-বোনেরা মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পান। আমরা বিনা পয়সায় রেশন দিই। আমরা অনেক কাজ করি। বিয়ে না হলে আমরা ২৫ হাজার টাকা দিই। এমনকী কেউ মারা গেলে আমরা সমব্যথী প্রকল্পে আমরা শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য মৃতের পরিবারকে ২ হাজার টাকা করে দিই|’

আরও পড়ুন-হেরে টেনিসকে বিদায় সানিয়ার

এদিন তিনি বিরোধীদের নিশানা করে বলেন, ‘কোন নীতিবোধ থেকে কংগ্রেস ভোট চাইছে? আমি কংগ্রেসে ছিলাম। কিন্তু তাঁরা আমাদের দল থেকে বের করে দিয়েছে। কারণ আমরা বিজেপিকে আটকানোর জন্য লড়াই করছি। প্রতিদিন বিজেপি ইডি, সিবিআই-র মাধ্যমে আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই সরকার কখনও অধিকার কেড়ে নেয়। কখনও তাঁরা বলেন, তুমি কী খাবে তা আমরা ঠিক করে দেব। কখনও বলবে, তুমি কোন স্কুলে যাইবা, আমি ঠিক কইরা দিমু। কখনও বলবে তুমি মাদ্রাসায় যাইবা না, স্কুলে যাইবা। তাঁরা বলেন, তুমি এখানে এটা করবে না, ওটা করবে। মেঘালয় চালাবে শুধু মেঘালয়। মেঘালয় চালাবে না গুয়াহাটি, দিল্লি। আমরাও বাংলা থেকে মেঘালয় চালাব না।’

Latest article