বৃহস্পতিবার আচমকা টানা বৃষ্টিতে এবং রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে রাতের অন্ধকারে ঝাড়খণ্ড সরকার ডিভিসির জল ছাড়ায় রাজ্যের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় এটা ম্যান মেড বন্যা। না জানিয়ে ডিভিসি জল ছাড়ায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ তিনি। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বী ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিবকে ফোন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান পূর্ব, আসানসোল, হুগলি, হাওড়ার কিছু জায়গার পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয়। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে বন্যা কবলিত জেলাগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পড়েছে উদ্ধার কাজে। জেলার সমস্ত আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সবরকমভাবে পাশে দাঁড়ানোর। খাবার, জল, বিশেষ করে বেবি ফুড দিতে বলা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
আরও পড়ুন-ফের প্রকাশ্যে গুলিবৃষ্টি, প্রশ্নে রাজধানীর নিরাপত্তা
একাধিক মন্ত্রীকে দয়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া- পুরুলিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জিকে। বর্ধমান পূর্ব সামলাবেন স্বপন দেবনাথ ও অরুপ বিশ্বাস৷ আসানসোল দেখতে বলা হয়েছে মলয় ঘটককে। হুগলির দায়িত্বে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বেচারাম মান্না। সঙ্গে থাকবেন দিলীপ যাদব। হাওড়া সামলাবেন পুলক রায়। সকলকে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যেতে বলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে আহ্বান করেছেন দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে দান করার জন্যও বলেছেন। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, এটা পিএম কেয়ার ফান্ডের মতো নয়। এটা সরকারি ফান্ড। এখানে জমা পড়া অর্থ এই ধরনের বন্যা সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সরকার খরচ করে থাকে। তাই মুক্ত হস্তে চিফ মিনিস্টার রিলিফ ফান্ডে দান করুন। ইতিমধ্যেই কিছু জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সেনা নামানো হয়েছে।