প্রতিবেদন : মাধ্যমিক শুরু হতেই চক্রান্ত। চক্রান্তকারী রাজ্য বিজেপি সভাপতি। শুক্রবার দুপুরে তিনি ট্যুইট করেন ইংরেজি প্রশ্নপত্রের তিনটি পাতা। উদ্দেশ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করা। পর্ষদকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পরিকল্পনা করে সাবোতাজের চেষ্টা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ঠিক নয়। পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই ঘটনাকে অন্তর্ঘাত বলেন। জানান, বিজেপির সাংসদ দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। দোষীকে খুঁজে বের করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলেছে তা শনিবারের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-রেপো রেট : আবার বাড়ছে মধ্যবিত্তের অশনি সঙ্কেত
পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর তিনটি পাতা ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়। ফলে পরীক্ষায় প্রভাব পড়েনি। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সস্তা প্রচারের জন্য পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা হলে ঢুকে গেলে আর ফাঁস হওয়ার কথা আসে কী করে? ঢোকার পর তো প্রশ্ন খুলতেই হবে। এটা সস্তা ও কুৎসার রাজনীতি। সুকান্তবাবুর উদ্দেশ্যে বলেন, সস্তার রাজনীতি করবেন না। আপনি শিক্ষক সমাজের লোক। সেটা মাথায় রাখুন। বিবৃতিতে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এই অভিযোগ ঠিক নয়। এবারের ইংরেজি প্রশ্নপত্রটি মোট ১৬ পাতার। তার মধ্যে মাত্র তিনটি পাতা সামনে এসেছে। গোটা ঘটনায় এটা পরিষ্কার রীতিমতো পরিকল্পনা করে সাবোতাজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-এত রাগ কেন?
পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কেউ সেই প্রশ্নপত্রের কপির ছবি তুলে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নিয়ম ভেঙে কেউ কেউ মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেছিল। এটা কীভাবে পুরোপুরি রোখা যাবে জানি না। তবে যখন এই প্রশ্ন বাইরে এসেছে তখন পরীক্ষা অনেকক্ষণ হয়ে গিয়েছে। আর পরীক্ষার্থীরা সবাই পরীক্ষার হলের ভিতরেই ছিলেন। তাই কোনও ভাবেই এই ঘটনাকে প্রশ্ন ফাঁস বলা যাবে না। পরীক্ষা শুরুর আগে কোনও প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসেনি। তবে ওই তিনটি পাতা কে বা কারা বাইরে পাঠাল তা নিয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।