সংবাদদাতা, বর্ধমান : জীবনের দিক পরিবর্তনের অন্যতম সূচকই হল শিক্ষা। তবে ব্যবহারিক শিক্ষার অসীম গুরুত্ব রয়েছে। কৃষকরা তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতার শিক্ষাকে হাতে-কলমে কাজে লাগিয়ে উন্নতমানের ফসল ফলান। তাই তাঁদের শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান। শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসে জীবন সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব ভাবনার কথা তুলে ধরেন রাজ্যপাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সি ভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ কীভাবে নানান সমস্যা থেকে সমাধানের রাস্তা বের করে উত্তরণের পথে পৌঁছন, তা থেকেও আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। তিনি বলেন জীবনই হল শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। কখন কাকে কী করতে হবে এবং কেন করতে হবে তার উত্তর জানা থাকলে জীবনের পাঠ অনেক সহজ হয়ে যায়। বিশুদ্ধ জ্ঞানের অনুশীলন করলে তবেই জীবনের পথ সত্য এবং সুন্দর হয়ে ওঠে। সমাবর্তনে দীক্ষান্ত ভাষণ দেন অমিতাভ ঘোষ। এবারের সমাবর্তনে বর্ষীয়ান সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও সংগীতজ্ঞ পণ্ডিজ অজয় চক্রবর্তীর হাতে সাম্মানিক ডি-লিট অর্পণ করা হয়। এর পাশাপাশি মৌলিক গবেষণায় বিশেষ স্বীকৃতি স্বরূপ ডক্টরেট অফ সায়েন্স (ডিএসসি) তুলে দেওয়া হয় বিজ্ঞানী শুভাশিস চৌধুরি ও অধ্যাপক সুমন কুমার ধরের হাতে।