সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর সমাবর্তনকে রাজনীতির আখড়া বানিয়ে তোলা, সেখানে বিজেপি সরকারের রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ এবং এই সব কিছুর মধ্যে রয়েছে উপাচার্যের এক্সটেনশনের অভিসন্ধি। সমাবর্তন ঘিরে এমন অভিযোগে সরব পড়ুয়ারা, প্রাক্তনীরাও। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিক্ষকের ভূমিকায় এসেছেন দাবি করলেও রাজনৈতিক পরিচয় ফুটে উঠেছে, ওঁদের বক্তব্যে। প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অর্থনীতির সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, পদার্থবিদ্যার মানস মাইতির মতো অধ্যাপকেরাও ডাক পাননি। মোদির ‘মেক ইন ইণ্ডিয়া’, জাতীয়তাবাদ ও পাঁচ বছরে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ওঠার বিজেপি-দাবি শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের গলায়। এদিন সমাবর্তনের আগেই শান্তিনিকেতন পোস্টারে ছেয়ে যায়। লেখা ছিল— কনভোকেশন না ভিসির এক্সটেনশন, বয়কট পলিটিক্যাল কনভোকেশন, পাথরবাজ উপাচার্য থেকে সুরক্ষা চাই ইত্যাদি। উপাচার্যের পদত্যাগও দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন-ড্রপলেট ছড়ায় অ্যাডিনো
সমাবর্তনে যোগ দিতে দু’দিনের বীরভূম সফরে এসেছেন রাজনাথ সিং। বৃহস্পতিবার রাতেই শান্তিনিকেতনে পৌঁছেছেন। শুক্রবার সমাবর্তনে যোগ দেন রাজনাথ। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকার, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷ আম্রকুঞ্জে জহরবেদিতে ঐতিহ্য মেনে সমাবর্তন হয়। সকালেই ছাতিমতলায় গিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজনাথ। পরে রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা ঘুরে দেখেন, উদয়নে কবিকক্ষে পুষ্পার্ঘ্য দেন। প্রথা অনুযায়ী ভবন-অধ্যক্ষদের হাতে শংসাপত্র ও সপ্তপর্ণী দেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ ও সুভাষ৷
আরও পড়ুন-রাস্তাশ্রী নিয়ে আজ জরুরি বৈঠক নবান্নে
রাজনাথ বাংলায় বলেন, আপনাদের মধ্যে এসে আমার খুব ভাল লাগছে। পড়ুয়াদের প্রিয় সন্তান বলেও সম্বোধন করেন৷ বলেন, রবীন্দ্রনাথের কর্ম দর্শন মেনেই দেশ প্রগতির পথে চলেছে। সমাবর্তন শেষে বিশ্বভারতীর অন্যতম কলাভবন ঘুরে দেখেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷