প্রতিবেদন : মেঘালয়ে ‘ডিসাইডিং ফ্যাক্টর’ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার মেঘের রাজ্যের ৫৯টি আসনে (এক প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য একটি আসনে ভোট স্থগিত রাখা হয়) ভোট গ্রহণ হয়। দিনের শেষে বিভিন্ন জাতীয় টেলিভিশন ও সমীক্ষা সংস্থার ‘এক্সিট পোল’ বলছে, মেঘালয়ে এনপিপির একার রাজত্ব শেষ। বিজেপিও সেরকম কিছু করে উঠতে পারেনি। মেঘালয়ে ব্যাপক খেলা হয়েছে। এক্সিট পোল অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ১৫টি আসন পেতে চলেছে এই রাজ্যে। যে এনপিপি-বিজেপি জোট গত পাঁচ বছর মেঘালয়ের শাসন ক্ষমতায় ছিল, তারা পেতে পারে ১৮-র কিছু বেশি আসন।
আরও পড়ুন-নবান্নে বৈঠক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর
বিজেপির আগেও বেশি কিছু ছিল না, এবারও তারা খুব বেশি কিছু করে উঠতে পারবে না। কংগ্রেস কিছু আসন পেলেও পেতে পারে। তবে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর অবশ্যই তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র দেড় বছর আগে মুকুল সাংমা-চার্লস পিনগ্রোপ জেমস লিংডো-মানস ভুঁইয়াদের সামনে রেখে সংগঠন তৈরির কাজ শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে আজ মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অন্যতম বৃহত্তম দল। অভিষেক বহুবার মেঘালয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করার পথে রয়েছে।
আরও পড়ুন-কর্মহীনতার আঁধার দেশকে ঢাকছে, মোদি সরকার কেবলই ঘুমোচ্ছে
সোমবার ভোট মিটে যাওয়ার পর বিভিন্ন এক্সিট পোল তৃণমূল কংগ্রেসকে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর বলে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হচ্ছে। মেঘালয় পরিবর্তনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে, বলেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কথাও সত্যি হতে যাচ্ছে। যদিও এক্সিট পোল একটা ইঙ্গিত মাত্র। এখন অপেক্ষা ২ মার্চ ফল ঘোষণার।