নয়াদিল্লি : করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা মাথায় রেখে আসন্ন উৎসব উপলক্ষে করোনাবিধি কিছুটা শিথিল করেও সতর্কতামূলক বন্দোবস্ত জারি রাখছে দেশের একাধিক রাজ্য। ছট, দুর্গাপুজো, নবরাত্রি, দিওয়ালির জন্য নির্দেশিকা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রটোকল বা এসওপি জারি হয়েছে। করোনা মহামারীর কথা বিবেচনা করে গত বছরও বিভিন্ন রাজ্যে উৎসবের মরশুমে, বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। এ বছর কেরল ছাড়া অন্যান্য রাজ্যে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিম্নমুখী। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে তারা যেন বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকে।
আরও পড়ুন :সীমান্তে হঠাৎ লাল ফৌজের সহযোগী পাক সেনা, চাপে ভারত
পশ্চিমবঙ্গ করোনা সতর্কতা গত বছরের মতো বজায় রাখতে এবারও পুজোর সময় মণ্ডপগুলিতে ‘নো এন্ট্রি’ জোন কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও উৎসব উপলক্ষে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নৈশকালীন নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই আলগা করা হয়েছে। ফলস্বরূপ রাজ্যে মহাপঞ্চমী থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত নৈশকালীন শিথিলতা বহাল থাকবে। রাত্রিকালীন বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় মিললেও সামাজিক দূরত্ব, স্যানিটাইজেশন এবং মাস্কের জন্য নিয়ম গুরুত্বের সঙ্গে একই রাখা হয়েছে।
দিল্লি দুর্গাপুজো এবং রামলীলার অনুষ্ঠানের জন্য ছাড় দেওয়া হলেও ছটপুজো উপলক্ষে রাজধানী দিল্লিতে নদী, মাঠ বা যেকোনও খোলা জায়গায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র মুম্বই পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নবরাত্রি উদ্যাপনের ছাড় দেওয়া হলেও এবারে হবে না গরবা অনুষ্ঠান। এমনকী দুর্গা প্রতিমার উচ্চতাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে বিএমসি র পক্ষ থেকে। করোনা বিধিনিষেধ মেনে উৎসব করার জন্য এসওপিও জারি করা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জনের সময় সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিদের করোনার টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে বিএমসি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : দল ছাড়লেন বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী
গুজরাট নবরাত্রি উপলক্ষে এ রাজ্যের আটটি শহরে নাইট কারফিউ এক ঘণ্টা শিথিল করা হয়েছে। গরবা নাচের অনুমতি দেওয়া হয়েছে আবাসনগুলিতে। এমনকী বিয়ের অনুষ্ঠানে এখন থেকে ৪০০ জন এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য ১০০ জনের উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ কিছু নির্দেশিকা-সহ ছাড় দেওয়া হয়েছে এই রাজ্যেও। নবরাত্রি, বিজয়া দশমী, দশেরাতে ছাড় দিলেও জনসমাবেশের ক্ষেত্রে করোনা বিধিকেই বজায় রেখেছে এ রাজ্য।
কর্নাটক যে সমস্ত জায়গায় করোনা ১ শতাংশে নেমে এসেছে সেখানে ১০০ শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমা হল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাঁরা সিনেমা হলে ঢুকবেন তাঁদের ক্ষেত্রে টিকার একটা ডোজ নেওয়া আবশ্যিক করা হয়েছে। কেরল ওনাম এবং বকরি ইদের পর কেরলে করোনা ঊর্ধ্বমুখী হলেও এখন থেকে হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় ৫০% মানুষকে বসে খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও সেক্ষেত্রে হোটেল কর্মচারীদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।