প্রতিবেদন : বিশ্বভারতীর উপাচার্য এখন প্রকৃত অর্থেই রাজনৈতিক নেতার ভূমিকায়। তাঁর বিস্ময়কর আচার-আচরণে এই ভূমিকাটা এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। গেরুয়া শিবিরকে খুশি করতে উপাচার্যর আগ্রাসী মনোভাবটা এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে নিজের এক্তিয়ারের সীমারেখাটাও বোধহয় ভুলতে বসেছেন তিনি। ভুলে যাচ্ছেন ঠিক কোথায় থামা উচিত তাঁর। বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর লেখা একটি খোলা চিঠিই তার প্রমাণ। এই চিঠিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক।
আরও পড়ুন-৫৬ লাখ বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল
উপাচার্য তাঁর বার্তালাপে বিশ্বভারতীর অধঃপতনের মূল কারণ হিসেবে প্রাক্তন উপাচার্য, আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিক, প্রাক্তনী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, ছাত্রদের অভিযুক্ত করেছেন। তাঁর মতে, যে সমস্ত আশ্রমিক এবং যাঁরা রবীন্দ্রনাথের সাহচর্যে এসেছিলেন, তাঁরাও রবীন্দ্রনাথের আদর্শ বুঝতে পারেননি। বিশ্বভারতীর অবক্ষয়ের নেপথ্য কারণ হিসেবে আশ্চর্যজনকভাবে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বোলপুরবাসীদের দিকে। শিক্ষক ও ছাত্রদের গুন্ডা বলে অভিহিত করে চরম ঔদ্ধত্যও দেখিয়েছেন উপাচার্য।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
তাঁর মতে, যে শিক্ষকরা আন্দোলনে ছাত্রদের প্ররোচনা দিয়েছেন তাঁরা গুন্ডা এবং আন্দোলনকারী ছাত্ররা ‘ছাত্রনামা গুন্ডা’। প্রশ্রয়দাতা অভিভাবকরা ‘বেপথু’। আমি আপনাদের সঙ্গে বিশ্বভারতীর মঙ্গলের চিন্তা ভাগ করে নিতে চাই বলে এমন সব কথা বলেছেন যা আশ্রমিক থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীর শিক্ষক, পড়ুয়া এমনকী অভিভাবকদের চোখেও অত্যন্ত আপত্তিকর বলে মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। বুঝতে অসুবিধে হয় না, স্থান-কাল-পাত্র বোধটাও হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। বিশ্বভারতীকে ফের সোনার ডিম-পাড়া হাঁসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। জানিয়েছেন, তিনি পালাবার পাত্র নন। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মন্তব্য, এই গুন্ডাদের বিশ্বভারতী থেকে নিষ্ক্রান্ত করাই আমার লক্ষ্য। স্বাভাবিকভাবেই উপাচার্যের খোলা চিঠিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।