প্রতিবেদন : ফের একবার বর্তমান সময়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তোপ দাগলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। সাফ জানালেন, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসার ও মিথ্যা খবরের যুগে চাপা পড়ে যাচ্ছে সত্য। শিকার হচ্ছে মিথ্যাচারের! সর্বত্রই অসহিষ্ণুতা, বিদ্বেষ বাড়ছে। শুক্রবার আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত একটি সম্মেলনে বক্তৃতা করার সময় এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। ভারতের পরিস্থিতিও এর ব্যতিক্রম নয় বলে মনে করছেন তথ্যভিজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন: মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না, জানিয়ে দিল আইএমএ
নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে দেশের গণতন্ত্র যে বিপন্ন সেটা বারেবারেই উঠে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতির কথায়। একদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এম বি লোকুর বলেছিলেন, মোদি সরকারে কোনও স্বচ্ছতা নেই। এই সরকার অত্যন্ত আগ্রাসী। বিচারবিভাগকেও কুক্ষিগত করতে চায় এই সরকার। সম্প্রতি বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল মোদি সরকার। যদিও সেই কাজ করতে গিয়ে তাদের মুখ পুড়েছে। একইভাবে দেশের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়েও সর্বোচ্চ আদালতে এক বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় খেয়েছে মোদি সরকার। সম্প্রতি এমন বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি লোকুর৷ তাঁর পর প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷
প্রধান বিচারপতি বলেন, ধৈর্য এবং সহনশীলতা কমে যাওয়ার কারণেই মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। মিথ্যা খবরের যুগে সত্য হারিয়ে যাচ্ছে। সমাজমাধ্যমের পরিসর বৃদ্ধি হলেও সেখানে এমন সব বীজ অঙ্কুরিত হচ্ছে যা বড় ক্ষতিসাধন করতে পারে। প্রধান বিচারপতির খেদ, একে অপরকে নিয়ে মজা করা ও তাঁদের ছোট করা একটি গভীর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকী, বিচারপতিরাও ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। বিচারপতিদের নিয়েও ঠাট্টা করা হচ্ছে। মানুষ এমন একটি যুগে বাস করছে যেখানে মানুষের ধৈর্য এবং সহনশীলতা কমে গিয়েছে। চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) আরও জানান, সমাজমাধ্যমে, বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট ট্যুইটারে ট্রোলিংয়ের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। তবে এই প্রথম নয়, আগেও শীর্ষ আদালত একাধিকবার ট্রোলিং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।